রামু প্রতিনিধিঃ
রামুতে জমি নিয়ে শালিস চলাকালে উস্কানি ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সংঘবদ্ধ চক্রের হামলায় ২ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আমতলিয়াপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী শাহিনা আকতার (৪০) ও ছেলে খুরশিদ আলম (২২)। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রামু থানায় এজাহার দিয়েছেন আহত শাহীনা আকতারের স্বামী নুরুল ইসলাম।
লিখিত এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- নুরুল ইসলামের সাথে পাশর্^বর্তী এক ব্যক্তির মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে ঘটনারদিন দুপুরে জমির বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক আয়োজন করা হয়। কিন্তু শালিস চলাকালে স্থানীয় মৃত উলা মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম তাদের প্রতিপক্ষকে বিরোধ মিমাংসা না করার জন্য বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও উস্কানী দিতে শুরু করে। এসময় উস্কানীদাতা আবুল কাশেমের সাথে নুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটির জের ধরে ওইদিন বিকালে আবুল কাশেম ও তার ছেলে তামজিদ উদ্দিন, তোফাইল আহমদ, ওসমান গনি এবং স্ত্রী খালেদা আকতারের নেতৃত্বে একটি দল দেশীয় অস্ত্র ও লাটি-সোটা নিয়ে নুরুল ইসলামের বাড়িতে আকষ্মিক হামলা ও ভাংচুর শুরু করে। এসময় হামলার প্রতিবাদ করায় হামলাকারিরা নুরুল ইসলামের স্ত্রী শাহিনা আকতারকে হাতুটি দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং ছেলে খুরশিদ আলমকে লাটি-সোটা নিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় হামলাকারিরা নুরুল ইসলামের বসত বাড়ি এবং বাড়ির ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে। এতে নুরুল ইসলামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামলার পর স্থানীয়রা গুরতর আহত শাহীনা আকতার এবং খুরশিদ আলমকে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ ঘটনার পর থেকে হামলাকারিরা নুরুল ইসলামের পরিবারের মামলা না করার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে শুরু করেছে। মামলা করলে তাদের উপর আবারও হামলা এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে উল্টো হয়রানির হুমকী দিচ্ছে। এ কারণে নুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমান চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
নুরুল ইসলাম জানান- অভিযুক্ত আবুল কাশেম ও তার সহযোগিরা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন মানুষর জমি জবর-দখল সহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠিত করে আসছে। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের আদেশ-নিষেধ উপেক্ষা করে অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। সর্বশেষ সংগঠিত হামলার ঘটনা নিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনাং জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে- এ ঘটনায় লিখিত এজাহার পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।