অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীতে সংবাদকর্মী হত্যা, রাঙামাটিতে সাংবাদিককে গ্রেপ্তার এবং জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে এক সাংবাদিক নেতার ওপর হামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন ও পেশার ২১ জন।
বুধবার এক বিবৃতিতে রাজধানীতে সংবাদকর্মী আব্দুল বারী হত্যা এবং জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুকের ওপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং রাঙামাটিতে সাংবাদিক ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান নাগরিক সংগঠনের এসব প্রতিনিধি।
বিবৃতিতে ঢাকাসহ সারাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন নিশ্চিত ও গণতন্ত্রের স্বার্থে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা অপরিহার্য। সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের হয়রানি রোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের আশ্বাস দিলেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশ্নবিদ্ধ এই আইনের আওতায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় এক যুগেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমকর্মী সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের বড় দুর্বলতা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন, শিশু সংগঠক নুরুর রহমান সেলিম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, নৌ-প্রকৌশলী আবদুল হামিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, পোভারটি ইমুলিনেশন অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পি দেব বর্মণ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রফিকুল আলম, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, সাংবাদিক ও শিশু সংগঠক রাজন ভট্টাচার্য, জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন, ঢাকা উত্তর নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল আকন্দ, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন এবং মুক্তি শিখার আহ্বায়ক জিহাদ আরিফ।