হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের রামু ডটকম :
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি একটি দুর্গম উপজেলা। ভৌগলিক কারণে উপজেলার বাইশারী ও দোছড়ি ইউনিয়নে যেতে হয় কক্সবাজার সদর এবং রামু উপজেলা ডিঙিয়ে। গেল বছরের মে এবং জুন মাসে পর পর পাঁচ বার ভয়াবহ বন্যার কারণে এখানকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে বাইশারী ও দোছড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
বাঁকখালী নদীর ভাঙনে রামুর গর্জনিয়া সেতুর ভেঙে যাওয়া এপ্রোচসহ কয়েক শ ফুট সড়ক এখনো মেরামত না করায় বাইশারীতে যেতে হয় কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও-ঈদগড় হয়ে ৮০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে। বর্তমানে উক্ত সড়কের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। তাছাড়া আগামী বর্ষা মৌসুমে বাইশারী ও দোছড়ি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থাও লন্ডভন্ড হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন কারণে।
এরই মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ও বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের সময়কাল আগামী ২৮ মে নির্ধারণ পূর্বক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রস্তাবনা প্রেরণ করেছে বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
এদিকে উল্লেখিত মাসে নির্বাচন করা হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের নিমিত্তে নির্বাচন কেন্দ্র সমূহে নিরাপত্তা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রেরণ করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএসএম শাহেদুল ইসলাম।
তিনি আমাদের রামুকে বলেন, বিগত বছর গুলোতে মে-জুন মাসে কয়েকবার ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এ বছরও একই সম্ভাবনা রয়েছে। বাইশারী ও দোছড়িতে যেতে হয় অন্য উপজেলা ঘুরে। কচ্ছপিয়া-দোছড়ি সংযোগ সড়কটি আগামী বর্ষা মুসৌমেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকা মাত্রই ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কটি লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। ফের আকার ধারণ করবে ভয়াবহ বন্যা। এমন সময়ে ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ মোটেও সম্ভব নয়।
তাই বাস্তবতার নীরিখে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষে মে মাসের পরিবর্তে এপ্রিল মাসে নির্বাচনের সময়কাল পরিবর্তন করা আবশ্যক বলে মনে করছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এসব কারণ উল্লেখ করে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। নাইক্ষ্যংছড়ির সচেতন মহলও বর্ষা মৌসুম শুরুর আগ মুহুর্তে ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।