কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৯, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬৭ ও সদস্য পদে ২৯৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া।
২ মার্চ ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। পেকুয়ার সাত ইউপির ভোট গ্রহনের জন্য তিনজন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
পেকুয়া ও রাজাখালী ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসান মুরাদ বলেন, পেকুয়া সদর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী কামাল হোসেন, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত নাছির উদ্দিন, আ.লীগের ‘বিদ্রোহী’ জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ শাহ আলম এবং রাজাখালী ইউপিতে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন সিকদার, আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমগীর চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাহাব উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী হেলাল উদ্দিন, বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নুরুল আবছার ওরফে বদু, স্বতন্ত্র প্রার্থী ছৈয়দ নুর, হুমায়ুন কবির ও শামশুন্নাহার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
উজানটিয়া ও মগনামা ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম বলেন, উজানটিয়া ইউপিতে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী দেলোয়ার করিম চৌধুরী, আ.লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী তোফাজ্জল করিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক এবং মগনামা ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল মোস্তফা, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. ইউনুছ চৌধুরী, আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী খাইরুল এনাম, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শরাফত উল্লাহ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
শিলখালী, বারবাকিয়া ও টৈটং ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান রব্বানী বলেন, শিলখালী ইউপিতে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন, আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজিউল ইনসান, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. শহীদুল্লাহ, বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আবদু রশিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামশুল আলম ও জাহেদুল করিম, বারবাকিয়া ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান এএইচএম বদিউল আলম, আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী জিএম আবুল কাসেম, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শহিদুর রহমান ওয়ারেচী, বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সাকিল সিকদার এবং টৈটং ইউপিতে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রমিজ উদ্দিন আহমদ, আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামীলীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মো. শহিদুল্লাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম, হাছান শরীফ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হাবিব উল্লাহ সিকদার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে পেকুয়া ইউপিতে ১১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫৫ জন, মগনামা ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৪ জন, শিলখালী ইউপিতে থেকে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে সাতজন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৭ জন, রাজাখালী ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে সাতজন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৭ জন, টৈটং ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে আটজন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৭ জন, উজানটিয়া ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩২ জন, বারবাকিয়া ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আগামী ৩১ মার্চ পেকুয়া উপজেলার সাত ইউপিতে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।’