শহিদুল ইসলাম, উখিয়া।
কক্সবাজারের উখিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ নাপিতপাড়া (পশ্চিম শীলপাড়া) গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ নিয়ে রুমখাঁ বউ বাজার নাপিত পাড়া এলাকায় চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।এ ঘটনায় বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ নাপিতপাড়া এলাকার মৃত তেজন্দ্র শর্মার ছেলে অজিত শর্মা তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ওয়ারিশ মতে রুমখাঁপালং মৌজায় ৭ শতক জায়গায় শান্তিপূর্ণ ভাবে বসতবাড়ী করে ভোগদখল করে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে। উক্ত জমির দালিলিক প্রমাণাদি থাকা সত্ত্বেও একই এলাকার মৃত কামিনী মোহন শর্মার ছেলে রবিন্দ্র শর্মা ও তার ভাই কালু শর্মা, ধীরেন্দ্র শর্মা, ফনিন্দ্র শর্মা, উপন্দ্রে শর্মা ও মৃত যতিন্দ্র শর্মার ছেলে খোকন শর্মাসহ ১০/১২ জনের একটি সশস্ত্র সংঘবদ্ধ বাহিনী ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে জোর পূর্বক প্রভাব কাটিয়ে ও লাটি, দা, কিরিচ ও লোহার রড নিয়ে অজিত শর্মার পৈত্রিক বসতভিটার ৭ শতক জমি দখলে নিতে যায়।
এসময় তাদের বাধাঁ দিতে গিয়ে মৃত তেজেন্দ্র শর্মার ছেলে অজিত শর্মা(৪০), সুলাল শর্মা(২৫), বিনা শর্মা(৩৫), শৈল শর্মা (৩৬) মনসা শর্মা (৩০), বিনা দা বালা (৭০), রনজিত শর্মা (৩৫), শেফালী শর্মা (২৯) ও প্রতিবন্ধী শিশু দীপক শর্মা আপ্পু (১০)সহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বর্তমানে অজিত শর্মা , তার স্ত্রী বিনা শর্মা ও সুলাল শর্মার অবস্থা আশংকা জনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউল হাসান রবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন অজিত শর্মা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থামূলক উখিয়া থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান আমাদের রামুকে জানান, তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে অজিত শর্মার পরিবারের উপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সমাজ সর্দার বাবুল শর্মার বাড়ীতে গত ২ মার্চ বুধবার একটি সালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় রবিন্দ্র শর্মা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের এঘটনা নিয়ে কোন রকম দাঙ্গা হাঙ্গামা না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের বিচার অমান্য করে পরদিন বৃহস্পতিবার (আজ) রবিন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন শর্মা রনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রবিন্দ্র শর্মা ও তার সহযোগিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।