নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি শহীদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে আরো একটি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ।
আদালতের নির্দেশে গত মঙ্গলবার ১ মার্চ দ্বিতীয় মামলাটি রেকর্ড করা হয় পেকুয়া থানায়। এর আগে গত মাসে আরো একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মগনামার নাপিতারদ্বিয়া গ্রামে শহীদুল মোস্তফা ও কাউছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার চেষ্টা করা হয় থানায়। মামলা রেকর্ডে বিলম্ব ঘটায় ওই নারীর বাবা মেয়েকে নিয়ে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত এই অভিযোগ আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে নথিটি পাঠান। এসময় নির্দেশ দেন অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করে আদালতকে অবহিত করতে। ফলে ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া দুই জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি রেকর্ড করেন।
এর আগে গতমাসে একই ইউনিয়নের দরদরিঘোনা গ্রামে অপর এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে চেয়ারম্যান শহীদুল মোস্তফা ও আরাফাত নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়। এছাড়াও আরো বেশ ক’টি বিভিন্ন মামলা জামায়াত নেতা শহীদের বিরুদ্ধে রয়েছে বলে একাধিক সুত্র জানায়।
তবে চেয়ারম্যান শহীদুল মোস্তফার দাবি করে বলেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতে উদ্দেশ্যমুলক এসব মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তদন্ত করলে তার সত্যতা মিলবে।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড করেছি। বৃহস্পতিবার (আজ) ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তবে, গতমাসে দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলায় চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।