বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাট নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গভর্নরের দায়িত্ব ছাড়া আতিউর রহমান বলেছেন, নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর বিকালে গুলশানে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আতিউর।
অর্থ লোপাট ও তার তথ্য গোপন নিয়ে তোপের মুখে থাকা আতিউর সকালে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাওয়ার আগে কয়েকজন সাংবাদিককে বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত তিনি।
পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। অন্যদিকে তার পদত্যাগের খবর আসে।
এদিকে গভর্নর পদত্যাগ করার পর পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা জানাজানির পর নানা মহলের সমালোচনায় পড়েন আতিউর রহমান।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে হ্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ সরিয়ে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতেই বিষয়টি টের পেলেও কর্মকর্তারা তা গোপন করে যাওয়ায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তা পত্রিকা পড়ে জানতে হয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মুহিত।
আতিউর রহমানের পদত্যাগের ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে নতুন গভর্নর হিসেবে সাবেক অর্থ সচিব ফজলে কবিরের নামও জানিয়েছেন তিনি।
বিডিনিউজ