হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টার
আমাদের রামু ডটকম :
শেক্সপিয়র বলেছিলেন, এ জগতে কেউ কেউ জন্মগতভাবে মহান, কেউ মহত্বের লক্ষণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন, আবার কেউ স্বীয় প্রচেষ্টায় মহানুভবতা অর্জন করেন। এই ৩টি বৈশিষ্ট্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে ছিল। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এ নেতার ৯৭তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস সারা দেশের ন্যায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতেও সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ দিনব্যাপি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে “বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, থাকবে শিশু সুরক্ষায়” শ্লোগানে শিশু সমাবেশ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য একটি র্যালি বের হয়। প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এ র্যালি উপজেলা পরিষদের মুক্তমঞ্চে মিলিত হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন ও জম্মদিনের কেক কেটা উৎসব শুরু হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম শাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর জীবনি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। তিনি সারাজীবন বাংলার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার আদর্শ ছিল অসাম্প্রদায়িক, বিদ্বেষমুক্ত, হানাহানি মুক্ত রাষ্ট্র গড়ে তোলা। তিনি ছিলেন সারাবিশ্বের সকল নিপীড়িত-শোষিত-অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির অগ্রনায়ক।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর প্রতিনিধি খাইরুল বাশার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ, ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তছলিম ইকবাল চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহম্মেদ, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আর্শীষ কুমার আচার্য, সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী শাহ আজিজ, হাজী এম.এ.কালাম ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও.আ.ম রফিকুল ইসলাম, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ছৈয়দ আলম প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করেনা। তারা দেশের কুলাঙ্গার ও রাজাকারের বংশধর। আর এ কুলাঙ্গারদেরও একদিন বিচার হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতারা আরও বলেন, স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে কারো সাথে কোনো আপোস নেই।
দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলছে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৩ মাস আগুন সন্ত্রাস করে দেশের নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। এরপর থেকে বিএনপি দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, স্বাধীনতার স্মৃতিসৌধ, জাতীয় পতাকা ইত্যাদির উপর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।