মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলায় লবণের বাম্পার উৎপাদনের ধুম পড়েছে। জেলার সব উপকূলীয় এলাকাসহ মহেশখালীতে লবণ মাঠে উৎপাদিত লবণের দাম অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। কালারমারছড়ার লবণ চাষি সাইফুল জানান, বিদেশ থেকে লবণ আমদানির কারণে এত দিন তাঁরা মাঠে উৎপাদিত লবণের ন্যায্য মূল্য পাননি। গত কয়েক মাস ধরে সরকার লবণ আমদানি বন্ধ ঘোষণা দিলে মাঠে উৎপাদিত লবণের দাম দ্রুত বেড়ে যায়। তবে অন্যান্য লবণ মাঠে এখন প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। কিন্তু কালারমারছড়ায় বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
অপরদিকে মহেশখালীর কালারমারছড়ার লবণ শিল্পকে ধবংসের পায়তারা চলছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। কালারমারছড়া উত্তর নলবিলা এলাকার সাবেক মেম্বার আলম ও চালিয়াতলীর বাদশাহ দালাল এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কালারমারছড়ার চালিয়াতলী নোয়া ঘোনা,পুরান ঘোনা, চালিয়াতলী ঘোনায় এ দুই দালাল সিন্ডিকেট করে লবণের ন্যায্য মূল্য দিচ্ছেনা লবণ চাষিদের। সরকারের নির্ধারণ করা প্রতি মণ সাদা লবণ বিক্রি হচ্ছে মাঠে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। অথচ কালামারছড়ার চালিয়াতলীর এসব লবণ মাঠে চাষিদের উক্ত দালাল সিন্ডিকেট বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাদেরকে সাদা লবণ মণ প্রতি দাম দিচ্ছেন ২’শ থেকে ২’শ ২০ টাকা পর্যন্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন লবণ চাষি আমাদের রামু কে জানান, উক্ত দালাল সিন্ডিকেটের কাছে এসব মাঠের লবণ চাষিরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চকরিয়ার উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালী এলাকার লবণ মাঠে সাদা লবণ বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ৩’শ থেকে সাড়ে ৩’শ টাকায়। অথচ কালারমারছড়া চালিয়াতলী লবণ মাঠে তার উল্টো চিত্র।
শুক্রবার সকালে সরেজমিন কালারমারছড়া উত্তর নলবিলা-চালিয়াতলী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হাজার হাজার একর জমিতে চাষিরা সমুদ্রের লোনা পানি ঢুকিয়ে সূর্য তাপে সেই পানি শুকিয়ে উৎপাদন করছেন সাদা সোনা খ্যাত লবণ। বিকেলে সেই লবণ চাষিরা ঘরে তুলছেন। অথচ মাথার ঘাম পাঁয়ে পেলে কষ্টে অর্জিত লবণের সঠিক দাম পাচ্ছেননা অত্র এলাকার লবণ চাষিরা। তারা ক্ষোভ আর হতাশায় ভোগছেন। তাই লবণ চাষিরা লবণের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য বিসিক কর্মকর্তা সহ মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।