চকরিয়া ও পেকুয়া প্রতিনিধি।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহমদকে টেকনাফে আটকের খবরে রোববার চকরিয়া ও পেকুয়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত চকরিয়া পৌর শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এসময় সড়কের দুই পাশে অন্তত তিন শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে।
চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ‘ইয়াবা বদির গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’ স্লোগান দিয়ে অবস্থান কর্মসুচি পালন করে। বেলা দেড়টার দিকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলম, চকরিয়া পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম খাঁন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ আবদুর রহমান বদির ইন্ধনে ছাত্রলীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহমদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওয়তায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
এদিকে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দুপুর দেড়টার দিকে পেকুয়া বাজারে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে বাজারে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের নেতারা ‘বুঝিয়ে’ ছাত্রলীগের নেত-কর্মীদের সরিয়ে দেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি এম কফিল উদ্দিন বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে যাঁরা আটক করে হেনস্তা করেছে, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
উল্লেখ্য, রোববার সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় ইসতিয়াক আহমদসহ আটজন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীকে আটক করে বিজিবি। পরে পরিচয় পেয়ে ইসতিয়াককে ছেড়ে দেয়া হয়।