হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টার
আমাদের রামু ডটকম :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেছেন, চারা গাছ যেমন বড় হয়ে ফল দেয়, ঠিক তেমনি আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। শিশুরাই একদিন রাজা হয়ে প্রজাদের বিচার করবে।
শনিবার ২ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ১ নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০১৬ এর জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আজ থেকে আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রাথমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ের ৫-১২ বছর বয়সী সকল শিশুদের কৃমি নাশক ঔষুধ খাওনো হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরাই কৃমি রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এটা দূর করতে হলে আমাদের কর্মকৌশল অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় অতন্দ্র প্রহরি হিসেবে কাজ করছেন বিজিবি ও সেনাবাহিনী। উনাদের সাথে সমন্বয় রেখে স্বাস্থ্য বিভাগকে কাজ করতে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে।
তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাদের ইউএনওর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার আহবান জানান। আর তা করা না হলে সেই সব কর্মকর্তাদের বদলি অবধারিত বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ পরিচালক।
জাতীয় পর্যায়ের এ অনুষ্ঠানে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডাঃ উদয় শংকর চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক ডাঃ আলা উদ্দিন মজুমদার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক ডাঃ উক্যা উং ববি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম শাহেদুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ শাহীন, পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ক্যউচিং চাক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তছলিম ইকবাল চৌধুরী।
এসময় বান্দরবান সহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সব শেষে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টীদের অংশ গ্রহনে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান উপভোগ করে মুগ্ধ হওয়ার পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর পরিচালক ডাঃ আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামছুজ্জামান নাইক্ষ্যংছড়ি ১ নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য এক লাখ টাকা অনুদান ঘোষনা করেন।
প্রধান অতিথি প্রথমে খুদে ডাক্তারদের কৃমি নাশক ঔষুধ খাওনোর মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০১৬ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পরে খুদে শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি একটি কবিতা উপহার দেন। কবিতাটি পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো।
এসেছি নাইক্ষ্যংছড়ি
খাওয়াব কৃমির বড়ি,
খাবে যে ছোট্ট শিশু
তার মাঝে আছে যিশু।
পুষ্টি তার খুব প্রয়োজন
হতে তার পূর্ণ বর্ধণ,
পেঠে তার থাকলে কৃমি
খাদ্য সার পায়না ভূমি।
বছরে দুই বার খেলে
কৃমি যে যাবে চলে,
শিক্ষকগণ সদয় হলে
ঔষুধটা দেন না তুলে।
শিশুগণ গিলল কিনা
খবরটা রাখেন কিনা,
যত সব কর্মকর্তা
হাতে হাত আসল বার্তা।
কার্যক্রম সমন্বয়ে
আসুননা সবাই এগিয়ে।