শহিদুল ইসলাম, উখিয়া।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনকে সামনে রেখে ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সংগঠনকে চাঙ্গা ও ঢেলে সাজাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল।
ধারাবাহিক একের পর একেকটি ওয়ার্ডে সরাসরি কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। আগামী জুন মাসে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বেই এ কমিটি গঠনের কাজ শেষ করা হবে বলে ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ খালেদ সরওয়ার হারেছ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দেশে সুষ্টু ও সৃজনশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামীলীগ অবিরাম সাংগঠনিক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে জোরালো ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে আমার ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোন ধরনের বিতর্ক না উঠে, সেজন্য সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আশা-আকাংখার প্রতিফলন ঘটানো হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ গঠনতন্ত্রের আলোকে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিল অধিবেশনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
৯ এপ্রিল ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কাউন্সিল অধিবেশন সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ খালেদ সরওয়ার হারেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা সকাল ১০ টায় আজুহাইয়া গ্রামে আওয়ামীলীগের আলোচনা সভা শেষে রেজু বরইতলী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২ টায় ভোট গণনা শেষে অনুময় তংচঙ্গা ৬৫ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সুলতান আহম্মদ পান ৬২ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে বদি আলম ৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিরো কান্তি পান ৫৩ ভোট।
এছাড়া উইক্য তংচঙ্গা সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়।
এ সময় ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃ আলমগীর, ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ খালেদ সরওয়ার হারেজ, সাধারণ সম্পাদক বাবু উপেন্দ্র চাকমা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংগঠনিক সম্পাদক মাষ্টার আব্দু শুক্কুর, ঘুমধুম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ, ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সোহেল রানাসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ খালেদ সরওয়ার হারেছ আমাদের রামু ডটকম কে বলেন, জাতীয় কাউন্সিলের আগে ঘুমধুম ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিল অধিবেশনের কাজ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হবে।
এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের অন্যতম রাজনৈতিক পুরোধা মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এর নির্দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।