এ.এফ.এম. মাহাবুব :
বয়স খুব একটা বেশি নয়, এই যে বাচ্চাটির – আট কি নয় বছর ! এই বয়সে একটি বাচ্চা কে দেখার কথা বিদ্যালয়ের সেই সৌর চেয়ারে। অথচ এই বাচ্চাটিকে দেখতে হচ্ছে কোন বুট-মুড়ির দোকানে বাসন-কোসন মাজার কাজে। দুঃখ তাদের একটাই গরীব হয়ে জন্মেছে। চলমান জীবনে সবাই ধনী-গরীব গোত্রে জন্মালেও ভাগ্য ঘুরিয়ে নেওয়ার ব্যাপার টা শুধু মাত্র তার চিন্তা চেতনা, মনমানসিকতার উপর নির্ভর করে। আর এই চিন্তা চেতনাকে ঠিক সেইভাবে গড়ে তুলতে প্রয়োজন সু-শিক্ষা। কিন্তু একি!! তারা যে শিক্ষা দূরে থাক নিজের বাবা মায়ের কাছেও থাকার সুযোগ টুকু পায় না।
এই ছেলেটির নাম ফরহাদ, বাড়ি কুমিল্লা। বাবা আগে মাছের জাল বুনতো, কিন্তু এখন কোন কাজ করতে পারে না, যার দরুন তাকে এই কাজ করতে হচ্ছে। ছবিটি কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছড়াস্থ একটি ছোলা-মুড়ির দোকান থেকে তোলা। এখানে মালিকের ঘরে থেকে পেটে ভাতে চলে সে, কিছু টাকা পেলে বাবা-মায়ের জন্য পাঠিয়ে দেয়। কিভাবে কুমিল্লা শহর ছেড়ে এতদূর এসেছে জানতে চাইলে বলে, কাজ করতে এসেছে, তার গ্রামের আরেকজন এখানে কাজ করে নাম শাকিব, তার মাধ্যমেই এতদূর আসা।
পড়ালেখা করার অদম্য ইচ্ছে তার। কিন্তু ভাগ্যের কাছে হার মেনে এখানেই পড়ে থাকতে হচ্ছে। সমাজের সচেতন মহলের দাবী শিশুশ্রম আইন বাস্তবায়িত করে, এই অবহেলিত, বঞ্চিত শিশুদের অচিরেই বিনামূল্যে পড়াশুনা করানোর দায়িত্ব নেবে সরকার।