হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে :
আগামী শনিবার তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ও দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণের প্রায় সব প্রস্তুতি ইসির নির্দেশক্রমে সম্পন্ন করেছে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন।
নির্বাচনী বিধি অনুসারে আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রার্থীদের সবধরনের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনী এলাকায় গত বুধবার মধ্যরাত থেকেই মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্বাচনী অপরাধের সাজা দিতে মাঠে থাকছে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা।
নির্বাচনী আইনানুযায়ী নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, ভোট গ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটগ্রহণের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহবান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করতে এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা সংঘটিত করতে বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না।
সে হিসাবে আজ মধ্যরাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির দুই ইউনিয়নের সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ রাখতে হবে। একইসঙ্গে কোনো আক্রমণাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ করতে পারবেন না। এমনকি ভোটার বা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত বা দায়িত্ব পালনরত কোনো ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে পারবেন না। এই বিধি লঙ্ঘন করলে নূন্যতম ৬ মাস বা অনধিক ৩ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন।
এছাড়া ২২ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৩ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ১ দিনের জন্য নির্বাচনী এলাকায় বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক ও টেম্পো চলাচলও বন্ধ থাকবে।
এক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রার্থী বা তার এজেন্ট, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বৈধ পরিদর্শক ওইসব যান ব্যবহার করতে পারবেন।
জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল খায়ের আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, বাইশারী ও দোছড়ির ইউপি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। নির্বাচনে যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় দুই ইউনিয়নের ১৮টি কেন্দ্রে বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া বিচারিক সহ পাঁচ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কয়েকটি স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।