মহেশখালী প্রতিনিধি:
অবৈধ অস্ত্রখ্যাত পাহাড়ি জনপদ মহেশখালীতে আবারও ফিরে এসেছে আলোচিত অস্ত্র কারিগররা। হাত দিয়েছে অস্ত্র তৈরির কাজে। আসন্ন দেশের বিভিন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট কেন্দ্র দখল নিতে অস্ত্রের চাহিদা ভেবে নতুন করে অস্ত্র তৈরিতে নেমেছে একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ ও কারিগরা।
আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর ঘন ঘন অভিযানের কারণে দ্বীপের পরীক্ষীত অস্ত্র কারিগর দীর্ঘদিন অন্যত্রে আত্নগোপন থাকলে ও নির্বাচনকে সামনে রেখে গত একপক্ষকাল ধরে অবস্থান করছে এলাকায়।
উপজেলার অস্ত্র তৈরির স্বর্গ রাজ্য কালারমার ছড়ার ফকিরজুম পাড়া পাহাড়ী এলাকা , বড় মহেশখালী, হোয়ানক, বড় ডেইল, ষাইট মারাসহ পাহাড়ের চুড়াই প্রায় ১০ স্পটে অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে। ফলে অস্ত্র তৈরি আবারও ধুম পড়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সম্প্রতি পাশ্ববর্তী সামীন্ত ইউনিয়ন বদরখালী ইউপি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল নিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্যাডাররা মহেশখালী অস্ত্রের কারখানা থেকে সড়ক পথে অস্ত্র এনে মজুদ করেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহেশখালী থেকে পাচারকালে ৪টি দৈশিয় লম্বা বন্দুকসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া নয়াপাড়া সড়কে পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে অস্ত্রসহ তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
কক্সবাজার জোষ্ঠ সিনিয়র-সহকারী পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল চকরিয়া) মোঃ মাসুদ আলম আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশের অভিযান জোরদার রয়েছে। এবং সোমবার নির্বাচন উপলক্ষে অস্ত্র পাচার পাচারকালে কালারমারছড়া থেকে অস্ত্রসহ দুই জনকে আটক করছে পুলিশ।
তবে ইতিমধ্যে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর টানা অভিযানের কারনে অস্ত্র ব্যবসা একটু কমলে ও বর্তমানে অস্ত্র তৈরির কারিগররা আবার এলাকায় ফিরে আসায় শংস্কা বেড়েছে লোকজনের মাঝে।
পাহাড়ে উল্লোখিত গহীন অরণ্যে খোদাই করে ও সূড়ঙ্গ করে ওয়ার্কসফ এর স্টাইলে অস্ত্র তৈরির কারখানা গুলো করা হয়েছে বলে নিভরযোগ্য সুত্র দাবী করেছে। প্রায় ১০টি অস্ত্র কারখানার মধ্যে বেশির ভাগ এখনো অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। গহিন পাহাড় হওয়ার কারণে আইন-শৃংখলা বাহিনীর লোকজন পৌছাঁ ও বড় কঠিন ও ঝুকিপুর্ণ মনে করেন লোকজন। সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের ছত্র-ছায়ায় লোকজন অবৈধ অস্ত্রের বিকিকিনি বেড়েছে।
নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাগী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে নিকস্থ জেলার অস্ত্রের চাহিদা মিটিয়ে পাচার হচ্ছে বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম – রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের ক্যাড়ারদের হাতে। এসব দৈশী তৈরী অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এক-দুই নলা লম্বা বন্দুক, কাটা বন্দুক-থ্রী কোয়াটার বন্দুক।
মহেশখালী-বদরখালী সংযোগ সেতু সড়ক পথে অথবা নৌ-পথ দিয়ে সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা পাচার করছে এসব অস্ত্র। মাঝে মধ্যে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্রের চালান। তবুও মহেশখালী থেকে বন্ধ করা যাচ্ছেনা অস্ত্র তৈরির কারখানা।
জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বণিক আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্ত্র কারীগর ও দাগী সন্ত্রাসীরা মাথাচড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য পুলিশের চলতি অভিযান জোরদার রয়েছে। তিনি অস্ত্র তৈরির মূল স্পর্টে খবর নিয়ে অভিযান চালাবে বলে ও জানান।