খাগড়াছড়ি শহর ছেড়ে অরণ্য কুটিরের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। সড়ক পথেই একমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থ।
খাগড়াছড়ি শহর ছেড়ে পানছড়ির পথে যে হয় জিপে চড়ে। তবে পাহাড়ের এই পথে নেই কোনো বিপত্তি। পুরোটা পথ সমতলে উপর বয়ে সোজা পাহাড়ি রাস্তা। দুপাশের সবুজ ধানক্ষেতের উপর বয়ে যাওয়া নরম সুতার রেখার মতো বয়ে গেছে কালো-পিচ ঢালা পথ।
যেতে যেতে চোখে পড়বে অচেনা প্রাচীন বটবৃক্ষ। গাছের নিচে লাগোয়া দোকানে গরম চায়ে চুমুক দিয়ে আবার যাত্রা শুরু করতে পারেন।
পানছড়ির পুরোটা পথ পাহাড়ের ভিতর বয়ে চলা সমতল রেখার মতো। মায়াবী পথ, চারপাশে ঘন সবুজের আবরণ মাখা লালইটের রাস্তা। যদি গাড়ির ছাদে
গিয়ে বসতে পারেন তবে অদ্ভুত দেখাবে সবুজ মাঠ পেরিয়ে অরণ্য কুটিরের প্রবেশ পথ।
সবুজ আভায় ঢাকা কুটির প্রবেশ পথ বেশ নীরব। চারপাশ জুড়ে ঘন বৃক্ষের আচ্ছাদন। কুটিরের ভেতরে সবুজ বনানীর মাঝখানে দাঁড়িযে থাকা বুদ্ধের দীর্ঘকায় মূর্তি। কুটিরের চারপাশজুড়ে সাজানো গাছের বাগান। সেখানে পাখিদের শব্দমালা।
অরণ্য কুটিরের চারপাশে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নানান স্থাপনা ও সাজানো বাগান চোখে পড়বে।
দিনের শেষ বেলায় অরণ্য কুটির থেকে ফিরতে ফিরতে পশ্চিমের মেঘে সোনার রং ধরবে। ডুবন্ত সূর্যের আলোয় পুরো বিহার আবৃত হয়ে থাকবে মায়াবী ঢঙে।
যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে সরাসরি বাস যোগে প্রথমে যেতে হবে খাগড়াছড়িতে। সেখান থেকে রির্জাভ ‘চাঁন্দের গাড়ি’ বা সিএনজি যোগে অরণ্য কুটির বিহারে যাওয়া যায়।
প্রয়োজনীয় তথ্য: বিহার বৌদ্ধদের পবিত্র স্থান। সেখানে কখনও উচ্চশব্দ করা যাবে না। অবশ্যই বিহারের বাইরে জুতা খুলে যেতে হবে। বিহারের পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন কিছু করা যাবে না। অরণ্যকুটির ভ্রমণ সহযোগিতা বা তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৮১৫-৮৫৬৪৯৭ নম্বরে।
[বিডিনিউজ]