ক্রীড়া ডেস্কঃ
এশিয়া কাপই শেষ নয়, সামনে অনেক খেলা। প্রচুর ব্যস্ততা। টানা শিডিউল টাইগারদের। তা আগেই জানা। প্রথমে জিম্বাবুয়ের সাথে হোম সিরিজ। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেলা।
দুটি টেস্ট এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ১৫ অক্টোবর ঢাকা আসছে জিম্বাবুইয়ানরা। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের শেষ টেস্ট চলাকালীন ওয়েষ্ট ইন্ডিজ আসবে নভেম্বরের ১৫ তারিখে। খেলা পঞ্চম দিনে গড়ালে ঐ দিনই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হবে। তার মানে জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ শেষ না হতেই আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে খেলার প্রস্তুতি নিতে হবে।
সাধারণত অন্য যে কোন সিরিজ বা আসরের প্রায় এক মাস আগেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। কিন্তু এবার আর তা হবেনা। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল অবেদিন নান্নু জানিয়েছেন প্র্যাকটিস শুরু হবে ১৫ অক্টোবর থেকে। এত দেরিতে কেন? ২১ অক্টোবর থেকে তো তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু, তার মাত্র পাঁচ-ছয়দিন আগে অনুশীলন শুরু হবে?
নান্নুর কথা শুনে মনে হলো, যেহেতু জিম্বাবুয়ে আর ওয়েষ্ট ইন্ডিজের সাথে ওয়ানডের পাশাপাশি টেস্টও আছে, তাই ক্রিকেটারা যাতে জাতীয় লিগ খেলে নিজেদের তৈরী করে নিতে পারে, তাই প্র্যাকটিস দেরি করে শুরু।
এদিকে আজ থেকে শুরু হয়েছে দেশের প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটের মূল আসর জাতীয় লিগ। এশিয়া কাপের ফাইনালের ৭২ ঘন্টা না কাটতেই শুরু হয়েছে এবারের আসর। আহত হয়ে মাঠের বাইরে থাকা তামিম-সাকিব এবং টেস্ট না খেলা মাশরাফি বিন মুর্তজা সহ ১৩ জাতীয় ক্রিকেটারকে জাতীয় লিগের প্রথম পর্বে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তামিম, সাকিব আর মাশরাফি ছাড়া বাকি ১০ জন পরের পর্ব থেকে জাতীয় লিগ খেলবেন। তবে সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে, যারা ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন, সেই সব জাতীয় ক্রিকেটাররা জাতীয় লিগে গড়ে দুটির বেশী ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন না।
প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ের সাথে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে ১৫ অক্টোবর যেমন প্রস্তুতি শুরু আবার একই দিন থেকে জাতীয় লিগেরও তৃতীয় রাউন্ড শুরু। যারা ওয়ানডে দলে থাকবে, তাদের ঠিক আগের রাউন্ড থেকেই খেলা বন্ধ। তবে শুধু টেস্টের জন্য যারা বিবেচনায় থাকবে, তারা জাতীয় লিগ খেলা চালিয়ে যাবে। ২৬ অক্টোবর শেষ হবে ওয়ানডে সিরিজ। তার ঠিক আগের দিন জাতীয় লিগের চতুর্থ পর্ব শেষ হবে। তার মানে শুধু টেস্ট স্পেশালিষ্ট হিসেবে যারা থাকবেন সেই ইমরুল, মুমিনুল, তাইজুল ও কামরুল ইসলাম রাব্বিরা ওয়ানডে দলে ডাক না পেলে জাতীয় লিগের চারটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন।