হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীতে বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যার ঘটনায় আটককৃত ৩ যুবক পুলিশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সোমবার ১৬ মে বান্দরবানের আদালতে আটককৃত ৩ জনকেই হাজির করা হয়েছে। তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারির ইউনিয়নের উপর চাকপাড়ার নতুন বৌদ্ধ বিহারেরিউ গাইন্দ্যা ভিক্ষুকে ( মং শৈ উ চাক ৭৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ শনিবার রাতে জিয়াউল হক, আবদুর রহিম ও হ্লামং চাককে আটক করে। এদের মধ্যে প্রথম ২ জনই মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের ৩ জনকে বাইশারির একটি রাবার বাগান থেকে আটক করা হয়।
বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যার ঘটনার সময়ে তাদের ৩ জনকে বৌদ্ধ বিহারে আশে পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল বলে পাড়ার লোকজন পুলিশকে তথ্য দেয়ার পর তাদের আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিকে এ ঘটনায় বৌদ্ধ ভিক্ষুর ছেলে অং চা থোয়াই রোববার সকালে হত্যা মামলা করেছেন (যার নং-৬ তাং-১৫/০৫/১৬)। এতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী সোলতান উদ্দিন আহসান।
জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল খায়েরি আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ৩ যুবক হত্যার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এগোচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যে পুলিশের সন্দেহ বেড়ে যাওয়ায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান ওসি। আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দুর্গম উপর চাকপাড়া গ্রামের উ গাইন্দ্যা ভিক্ষুর (৭০) লাশ পাওয়া যায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও ঘাড়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। ভিক্ষু হওয়ার আগে উ গাইন্দ্যা ভিক্ষুর নাম ছিল মং শৈ উ চাক।
পুলিশ এখনো এ হত্যার রহস্য বের করতে পারেনি। এ ঘটনার পর বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী চাকমা সম্প্রদায় সহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে প্রতিবাদ সভা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ভিক্ষুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার পর এলাকার মানুষের মধ্যে এখন আতঙ্ক কাজ করছে।