শহিদুল ইসলাম, উখিয়া:
আর ১২ দিন পর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচনে মূল লড়াইটা হবে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে। আওয়ামীলীগ-বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা হালে পানি পাবেনা বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
উভয় দলের বিদ্রোহী নেতাদের শীঘ্র বহিস্কার করা হবে বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে।
২০ মে শুক্রবার উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস ও রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয় হয়। প্রতীক পাওয়ার পর নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে।
সাধারণ ভোটাররা বলেন, এবার প্রথম দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। তাই লড়াই হবে নৌকা-ধানের শীষের মধ্যে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আওমীলীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠে রয়েছে। তবে দলের বাইরে ব্যক্তিগত ইমেজকে কাজে লাগিয়ে জয় হতে মরিয়া সতন্ত্রপ্রার্থীরা।
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী (নৌকা), উপজেলা বিএনপির একক প্রার্থী তারেক মাহমুদ চৌধুরী রাজিব (ধানের শীষ) ও আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী (রজনী গন্ধা)।
পালংখালী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী (ঘোড়া), হেলাল উদ্দিন (ধানের শীষ), শাহাদাৎ হোসেন জুয়েল (নৌকা), কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহাম্মদ (আনারস), জামায়াত নেতা মাওঃ শাহ আলম (মটর সাইকেল)।
রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী (ধানের শীষ), নুরুল হুদা (নৌকা), বিএনপি নেতা খাইরুল আলম চৌধুরী (ঘোড়া), বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন (আনারস), মাহবুল আলম (মটর সাইকেল)।
হলদিয়াপালং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, অধ্যক্ষ শাহ আলম (নৌকা), এসএম শামশুল আলম বাবুল (ধানের শীষ), আওয়ামীলীগের বিদ্রেুাহী প্রার্থী আমিনুল হক আমিন (আনারস) ও মাহবুল আলম (মটর সাইকেল)।
জালিয়াপালং ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান এসএম ছৈয়দ আলম (নৌকা), সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন (ধানের শীষ) ও উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান (ঘোড়া)।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, শীঘ্রই বাকীদেরও বহিস্কার করা হবে।