টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আনসার ব্যারাকে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহজনক এক ডাকাতকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দিয়েছে জনতা।
সোমবার ২৩ মে সকাল ৭টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া সমুদ্র সৈকত এলাকা দিয়ে ফিশিং ট্রলারে উঠার সময় জনতা ধাওয়া করে তাকে আটক করে।
আটক রোহিঙ্গা ডাকাতের নাম হারুন। সে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা।
১৩ মে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আনসার ব্যারাকে হামলা চালিয়ে এক কমান্ডারকে হত্যা করে ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি লুটের ঘটনায় অন্যতম সন্দিগ্ধ এই হারুনকে খোঁজাখুঁজি করছিল আইন শৃংখলা বাহিনী। এসময় তার সহযোগী মাহমুদুল হাসান নামে অপর ডাকাত সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ আহমদ জানান, ডাকাত আটকের খবরে ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাকে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী হোসন আহমদ জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে সাগরে মাছ শিকারের সময় স্থানীয় জেলে আব্দুল হাকিম তাকে মোবাইলে জানান, হাফপ্যান্ট পরিহিত অপরিচিত দুই ব্যক্তি সাগরে কাছাকাছি থাকা একটি ফিশিং ট্রলারকে সংকেত দিচ্ছে।
এসময় তিনি লোকজন নিয়ে সৈকতে এগিয়ে গেলে দুই ব্যক্তি ফিশিং ট্রলারটিতে উঠার চেষ্টাকালে একজনকে আটক করে নিয়ে আসে। অপর ব্যক্তি সাতরে সাগরের দিকে চলে যায়। পরে ফিশিং ট্রলারটি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ধৃত ডাকাত স্বীকার করেছে নয়াপাড়া ক্যাম্প থেকে তারা আত্মগোপনের জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে পালিয়ে যাচ্ছিল।
কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার ফিশিং ট্রলারটি তাদেরকে নিয়ে যেতে এসেছিল বলে সে জানায়।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা) ধৃত ডাকাত বিজিবি হেফাজতে রয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি আব্দুল মজিদ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জনতার সহায়তায় ধৃত ডাকাত সদস্য বিজিবি হেফাজতে রয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনও পুলিশে হস্তান্তর করা হয়নি। পুলিশে হস্তান্তর করা হলে আনসার ব্যারাকে হামলায় সংশ্লিষ্ট কিনা তা জানা যাবে বলে জানান তিনি।