টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে এক সদস্যকে হত্যা ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুটের ঘটনা প্রায় ১১দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র ও গোলা বারুদ উদ্ধার হয়নি।
ঘটনার সাথে জড়িত মুল হোতা ও পরিকল্পনাকারীরা এখনো রয়ে গেছে ধরাছোয়াঁর বাইরে।
এদিকে ১৩ মে থেকে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, পি বি আই ও আনসার সদস্যরা দিন রাত সাড়াশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ঘটনার প্রায় ১১ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত মুল অপরাধীদেরকে আটক করতে পারেনি যৌথ অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যরা। এতে সময় যত ফেরিয়ে যাচ্ছে ততই সাধারণ মানুষের মাঝে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্রের সন্ধান ও ঘটনার সাথে জড়িত মুল হোতাদের ধরতে আমাদের সাড়াশি যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং আমরা বিভিন্ন কৌশল নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। আশা করি আমরা অতিসত্তর অস্ত্র উদ্ধার ও জড়িত আসামীদের ধরতে সক্ষম হব।
তিনি আরো বলেন, এই কয়েকদিনে ঘটনার সাথে জড়িত মুল হোতাদের বের করতে আমরা বেশ কয়েকজন অপরাধীকে আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিক তথ্য বের করে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং ইতিমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত ও পরিকল্পনাকারীদের অবস্থান সংগ্রহ করতে সক্ষম হচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে নয়াপাড়া শরণার্থী শালবন আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায় ডাকাতরা। এই সময় আনসার কমান্ডার মো. আলী হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রাগার থেকে ডাকাতরা ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০টি গুলি লুট করে পালিয়ে যায়। চলে যাওয়ার পথে ডাকাতদের কোপে আহত হন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের এক বাসিন্দা।
এর আগেও গত বছরের ১৫ মার্চ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ডাকাতদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দুই আনসার সদস্য আহত এবং এক ডাকাত নিহত হয়।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত ও লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্রের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। কাউকে আটক করাও যায়নি। তবে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্র মুল আসামীদের আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হব।