খালেদ শহীদ:
রামুর বৌদ্ধ স্থাপত্য নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হলেন বিভিন্ন দেশের সেনা কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে কক্সবাজারের রামু উপজেলার উত্তর মিঠাছড়ি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ‘ভূবন শান্তি একশ ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধমূর্তি’ ও ‘বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’ পরিদর্শন করেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সের ১০ ইপেন্ট্রি ডিভিশন ইন্টার্ন্যাল স্টাডি ট্যুর-২ এর সদস্যরা।
রামুতে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান, রামুর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান সহ উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তা এবং ‘বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’র পরিচালক ভিক্ষু করুণাশ্রী থের, সাধারণ সম্পাদক শিপন বড়ুয়া।
ঢাকা ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফ রিয়ার এডমিরাল মো. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে সৌদি আরব, কাতার, জর্দ্দান, ব্রুনাই, আরব আমিরাত, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, কানাডা, নাইজেরিয়া ও বাংলাদেশের শতাধিক ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সের ১০ ইপেন্ট্রি ডিভিশন ইন্টার্ন্যাল স্টাডি ট্যুর-২’র সদস্য রামুর বৌদ্ধ স্থাপত্য নিদর্শন সহ রামু সেনা নিবাস ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় পরিদর্শ করেন।
সম্প্রীতির সহবস্থানে বৌদ্ধ স্থাপত্য নিদর্শন দেখে তারা মুগ্ধ হন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ‘ভূবন শান্তি একশ ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধ মূর্তি’র সংস্কার কাজ ও ‘বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’র পূনঃনির্মাণ করা হয়। এরপর বৌদ্ধ নিদর্শন ও পর্যটন আকর্ষণীয় বিশেষ স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে রামু উপজেলার উত্তর মিঠাছড়ি গ্রামের পাহাড়চূঁড়ায় প্রতিষ্ঠিত ‘ভূবন শান্তি একশ ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধ মূর্তি’ ও ‘বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’ সহ রামু উপজেলার বৌদ্ধ নিদর্শন গুলো। পর্যটনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়েছে রামু।
রিয়ার এডমিরাল মো. আনোয়ারুল ইসলামের কথা গুরুত্ব সহকারে শুনেন ১০ ইপেন্ট্রি ডিভিশন ইন্টার্ন্যাল স্টাডি ট্যুর-২’র সদস্যরা।
এ সময় ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সের পক্ষ থেকে ‘ভূবন শান্তি একশ ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধ মূর্তি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ‘বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’র পরিচালক ভিক্ষু করুণাশ্রী থের কে স্মারক সম্মাননা ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মানিত করেন, রিয়ার এডমিরাল মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজের জন্য অনুদানের চেক প্রদান করেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সের এ কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার ১২টা ২৫ মিনিটে ১০ ইপেন্ট্রি ডিভিশন ইন্টার্ন্যাল স্টাডি ট্যুর-২’র সদস্যরা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ও পরিদর্শন করেছেন বলে আমাদের রামু ডটকমকে জানান, রামু সেনানিবাসের কর্ণেল কায়সার মালিক।
তিনি বলেন, দেশ প্রতিরক্ষার উচ্চ একটি ডিগ্রীর কোর্সের অংশ হিসেবে ঢাকা ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের শিক্ষার্থীরা কক্সবাজার আসেন। তাঁদের এ পরিদর্শনে বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্প্রীতি আরো ঋদ্ধ হবে। পর্যটন সমৃদ্ধির পরিচিত লাভ করবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে।