সোয়েব সাঈদ:
রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান পদে কুঁড়ে ঘর প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন, বিশিষ্ট রাজনীতক বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়াম পার্টি (ন্যাপ) এর কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীম আহসান ভুলু।
৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সাহসী নেতা শামীম আহসান ভুলু জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রামু কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশতাক আহমদের সুযোগ্য ছেলে।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রামুতে সংগঠিত সহিংস ঘটনায় শামীম আহসান হামলাকারীদের প্রতিহত করে একটি বড় বৌদ্ধ বিহার (বড় ক্যাং), আশপাশের কয়েকটি বৌদ্ধ ও রাখাইন পল্লীকে হামলার কবল থেকে রক্ষা করেন। এতে শামীম আহসান ভুলু হামলাকারীদের আঘাতে রক্তাক্ত হন।
আপোষহীন জননেতা শামীম আহসান ভুলু এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করায় ইউনিয়নের সর্বস্তুরের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশাপাশি উৎফুল্ল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনও।
রামুর বড়ুয়া পাড়া, হাইটুপী এলাকার কয়েকজন নারী-পুরুষ জানান, শামীম আহসান ভুলু একজন জনদরদী মানুষ। তিনি ক্ষমতায় না থেকেও অতীতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দূর্দিনে এবং যে কোন মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমন মানুষকে নির্বাচিত করলে ফতেখাঁরকুলবাসী আরো কাংখিত সেবা পাবে।
ভোটাররা আরো জানান, পারিবারিক ঐতিহ্য আর হিন্দু-বৌদ্ধ সম্প্রদাযের বিশাল ভোট ব্যাংক থাকায় ভোটের হিসেবে অনেক এগিয়ে রয়েছেন শামীম আহসান ভুলু। তাই শামীম আহসান ভুলু এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর জয়ের জন্যও ফ্যাক্টর হতে পারে বলে অনেক ভোটার মত দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়াম পার্টি (ন্যাপ) এর কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীম আহসান ভুলু জানিয়েছেন, যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ফতেখাঁরকুলবাসী দীর্ঘদিন ন্যায় বিচার আর সকল সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। তাই নিপীড়িত আর সেবা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্যই তিনি এবারের নির্বাচনে কুঁড়ে ঘর প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
উল্লেখ্য, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শামীম আহসান ভুলু (কুঁড়ে ঘর) ছাড়াও আরো দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এরা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফরিদুল আলম (নৌকা) ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবুল বশর বাবু (ধানের শীষ)।
আগামী ৪ জুন ফতেখাঁরকুল সহ রামুর ৬ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।