গিয়াস উদ্দিন ভুলু:
টেকনাফে মাহে রমজানকে লক্ষ্য করে আগুন লেগেছে নিত্য প্রযোজনীয় বাজারে। দিনের পর দিন নিত্য প্রযোজনীয় জিনিসপত্রের মুল্য ঘড়ির চাকার মত বৃদ্ধি পেয়ে ঘুর পাক খাচ্ছে। প্রতিনিয়ত যে হারে দ্রব মূল্য বাড়ছে তা যদি স্থায়ী থাকে তাহলে হত দরিদ্র সাধারণ মানুষরা পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রযোজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হিমসিম খাবে। এবং ক্রয় ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত হবে।
টেকনাফ উপজেলার হাট বাজারের তথ্য নিয়ে জানা যায়, রমজানে যে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র মানুষের নিত্য দিনের প্রযোজন সে সমস্ত জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। টেকনাফ বাজারে ছোলা প্রতিকেজি ৮৫-৯০ টাকা। রসুন ২২০-২৫০ টাকা, আদা ১২০-১৫০ টাকা, সয়াবিনতেল প্রতি কেজি ওজনের দাম ১০০-১১০ টাকা মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা, চিনি প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা, গুড়ো দুধ প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকা।
এদিকে মাছ মাংসের বাজারেও আগুন ধরে আছে। মাংস প্রতি কেজি ৫০০-৫৫০ টাকা, ছাগল ৭৫০-৯০০ টাকা, দেশী মুরগী এক কেজি ৩৫০-৪০০টাকা, ফার্ম মুরগী এক কেজি ১৮০-২২০টাকা, ছোট মাছ কিনতে গেলে প্রতি কেজি ৩০০টাকা করে কিনতে হয়।
বড় মাছের দামের আগুনে সহজে ধরা যায় না। অপরদিকে তরকারি বাজারেও এখই অবস্থা প্রতিনিয়ত বাড়ছে সবজির দাম। ৭০ টাকার নিচে কোন তরকারি পাওয়া যায় না। আর নতুন তরকারি বাজারে আসলে তো কোন কথাই নেই। প্রতি কেজি ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
পৌরসভার জালিয়া পাড়ার এলাকার আবুল হোসেন দু:খ প্রকাশ করে চাটগাইয়া ভাষা বলেন, (ওবাজি যে হারে নিত্য প্রযোজনীয় জিনিসের বাইতে শুরু গইজে রোজার মাসত আরা কি খাইরে আরা রোজা রাইকুম। এদুন দাম দি ওরে আরা কেন গরি বাজার গইজুম একমাত্র আল্লাই জানে) এব্যাপারে টেকনাফ সুলীল সমাজে বেশ কয়েকজন আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, রমজান না আসার আগে নিত্য প্রযোজনীয় দ্রব্য মুল্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে না আনলে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের ও দু:খের শেষ থাকবে না। তাই আমরা মনে করি রমজান মাসে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মনিটরিং করে দ্রব্য মুল্যের উর্দ্ধগতি ক্রয় ক্ষমতা রাখার দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন , মাহে রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্য মুল্য ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে রাখার জন্য আমরা এখন থেকে অভিযান শুরু করে দিয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১ জুন টেকনাফ পৌরসভায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টানে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য মজুত, ওজনে কারচুপি, অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি ও মূল্য তালিকা না টাঙানোর দায়ে ৮টি প্রতিষ্টানকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। এবং এই অভিযান রমজান মাসেও অব্যাহত থাকবে।