আমাদের রামু রিপোর্ট:
রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনী মালামাল নিয়ে রামু ফেরার পথে রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে এএসপির গাড়িতে ককটেল ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙে দুর্বৃত্তদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় মোবারক হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
শনিবার, ৪ জুন রাত আটটার দিকে খুনিয়া পালংয়ের দারিয়ারদীঘি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্ধী মেম্বার প্রার্থী ছব্বিরসহ চার-পাঁচশ লোকজনকে অভিযুক্ত করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর আমাদের রামু ডটকমকে জানান, রাত আটটার দিকে ভোট গণনা শেষে নির্বাচনী মামলামাল নিয়ে রামু ফিরছিলেন এএসপি (সদর দপ্তর) ছত্রধর ত্রিপুরা। এ সময় গাড়িটি দারিয়ারদীঘি এলাকায় পৌছালে ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এ সময় মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্ধীতাকারী ছব্বির মেম্বারের নেতৃত্বে চার-পাঁশ জনতা রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্ঠি করে। এ সময় জনতা পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে প্রথমে ককটেল পরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ফলাফলসহ নির্বাচনী মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে তারা।
নির্বাচনী মালা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ ও ওইস্থানে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে। তিনি বলেন, মোরগ মার্কা নিয়ে খুনিয়া পালং ইউনিয়নে মোরগ প্রতীক নিয়ে প্রতিদন্ধীতা করেন ছব্বির আহমদ। নির্বাচনী ফলাফলে তার পরাজয়ের খবর শুনার সাথে সাথে তিনি রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে এ ঘটনা ঘটান।