আমাদের রামু রিপোর্ট:
৪ জুন দেশব্যাপী ৬ষ্ঠ বা শেষধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়ে গেল। রামুর ১১ এগার ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নের নির্বাচন ছিল ৪ জুন। ছয় ইউনিয়নের মধ্যে চাকমারকুল ইউনিয়ন একটি। ১০ নং চাকমারকুল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী ছিলেন ফরিদুল আলম ফরিদ। তার প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন মো: রহিম উল্লাহ। নির্বাচনে রহিম উল্লাহ’র কাছে হেরে যান ফরিদুল আলম ফরিদ।
ফরিদুল আলম ৫ জুন (আজকে) সকাল সাড়ে এগারটার দিকে তার লোকজন নিয়ে চাকমারকুল বড়ুয়াপাড়ায় ঢুকে জাত তুলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এর আগে প্রয়োজনীয় লাঠিসোঠা এবং ধারালো অস্ত্র মজুদ করে রাখেন। উদ্দেশ্য ছিল কেউ বাকবিতন্ডা করতে এলে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বেন। তার সাথে আরো ১০/১২ জন ছিলেন।
এদিকে কেউ তার সাথে বাকবিতন্ডা করতে আসেনি। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পরও ক্ষান্ত হলেন না ওই পরাজিত মেম্বার। এক বাড়ির মহিলার কাপড় টেনে ধরে বলেন নাকি কাপড় খোলে নিবেন। বাড়ির এখানে ওখানে লাথি মারা শুরু। তাদের অপরাধটা কি ? অপরাধ হল, পাড়ার বড়ুয়ারা নাকি তাকে ভোট দেয় নাই। তারা অনেকে বলছেন ভোট দিয়েছেন। গ্রামে মাত্র ৩০/৪০ টি পরিবারের বসবাস।
তারা আসলে আতংকে আছেন। অবশ্য গ্রামে কয়েকজন পুলিশ অবস্থান করছেন। ঘটনার পর পুলিশ ওই মেম্বারকে ধরে নিয়ে গেছেন।
তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য কতিপয় সম্প্রীতিবান্ধব নেতারা এখন মরিয়া। তাদের অনেকের চিন্তা, এই ঘটনা বাইরে জানাজানি হলে নাকি তাদের বদনাম হবে, তাদের উপর চাপ আসবে। তাই অনেকের পরামর্শ, মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিলে ভাল হয়। একাজে স্বয়ং বড়ুয়াদের কাউকে ব্যবহার করতে চান তারা।
এদিকে ফরিদুল আলমের সাথে সাঙ্গপাঙ্গ আরো যারা গিয়েছিলেন, অংশ নিয়েছিলেন এখনো তাদের কাউকে ধরা হয়নি।
একইভাবে ২৮ জুন ৫ম ধাপের নির্বাচনের পরপর রাতে খুরুশকুলের হিন্দুপল্লীতে পরাজিত এক মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে।
সচেতন মহল বলছেন, ভোট এলে ভোট দেওয়া-না দেওয়ার অজুহাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা যেন স্বাভাবিক নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। এই নিয়তি কি এড়ানো যায়না ? এভাবে কি চলতে থাকবে ? অপরাধীদের কি আইনের আওতায় আনা যায় না ? তারা বার বার পার পেয়ে যায় বলেই তো এমন দুঃসাহস করে।