আঃ রামু রিপোর্ট:
নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙ্গে খন্ড-বিখন্ড হয়ে যায় রামু উপজেলার ফকিরাবাজার-তেমুহনী-জাদিমুড়া সড়কটি।
গত বছরের ২৬ জুন সৃষ্ট বন্যার কবলে পড়ে নবনির্মিত এই রাস্তাটি সম্পূর্ণরূপে বিধস্ত হয়ে গেছে।
নবনির্মিত সড়কটির ১৩৪ মিটার নির্মাণ কাজের দুই পাশের ধ্বংসাবশেষ
দৃশ্যমান থাকলেও মাঝখানের অংশটি তলিয়ে গেছে বন্যার পানির চাপে।
স্থানীয়রা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই চার দশক সময়ের মধ্যে উক্ত
সড়কে বহুবার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে কিন্তু কোন সময়ে সড়কটি বেশি
দিন টেকেনি। পরে পানি চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তার কিছু অংশ জুড়ে সেতুর
আদলে নির্মাণ করা হয়। এরপরও সুফল পাওয়া যায়নি।
এবার কাচা সড়কের পরিবর্তে পাকা এবং টেকসই কাজের জন্য সর্বশেষ
সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
২০১৪ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২৫০ মিটার দীর্ঘ সড়কটির ১৩৪ মিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য ৬৮ লাখ ৭ হাজার টাকা বরাদ্দ
দেয়। এই কাজের দায়িত্ব পায় স্থানীয় ‘উদয়ন কন্সট্রাকশন’ নামের এক
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২ জুন এবং শেষ হয় ২০১৫
সালের ১৪ মার্চ। ৬ মে সড়কটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
কিন্তু পরের মাসের ২৬ জুনের বন্যায় সড়কটি সম্পূর্ণরূপে বিধস্ত হয়ে যায়।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কবির জানান, ১৯৭৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ
মেম্বার নির্বাচিত হবার পরে তিনি সর্বপ্রথম রাস্তাটি তৈরি করেছিলেন।
দ্বিতীয়বার কাজ করেছিলেন ১৯৯৭ সালে। কিন্তু এখন প্রতি বছর বছর কাজ
করতে হয়।
সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী
ছাড়াও সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।
স্থানীয় জানান, আগামী বর্ষার আগে সড়কটি নির্মাণ করা না গেলে তাদের কষ্টের সীমা থাকবেনা।