কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উদ্যোগে ভূমিকম্প সচেতনতা বিষয়ক এক মহড়া অনুষ্টিত হয়েছে।১৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় কক্সবাজার সিটি কলেজ প্রাঙ্গনে এ মহড়া আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের সার্বিক আয়োজনের এ মহড়ায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কক্সবাজারে পাহাড় ধ্বসে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর কর্মকান্ড, গতিশীলতা ও দক্ষতা সত্যিই প্রশংসনিয়।
তিনি আরো বলেন, অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন, ভূমিধ্বস এবং অন্যান্য দূঃর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর নিবেদিত প্রাণ কর্মীগণের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে নিঃস্বার্থভাবে সেবা প্রদানের জন্য সকলের কাছে প্রশংসা পাওয়ার দাবীদার। তিনি এ বিভাগের কর্মকার্ন্ডে সহযোগীতা করে জানমাল রক্ষায় ভূমিকা রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্ত পরিচালক (অপাঃ ও মেইনঃ) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ, কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যথিং অং। মহড়া সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কক্সবাজার এর উপ-সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন। মহড়া অনুষ্টানটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর দেশ বিদেশে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়।
দেশের অন্যতম এ মহড়ায় প্রধান অতিথি কর্তৃক ফায়ার এক্সটিংগুইসার দ্বারা আগুন নির্বাপন, চটের বস্তা দ¦ারা কাটা ড্রামের আগুন নির্বাপন, ভূমিকম্পের বাস্তব দৃশ্য, ভূমিকম্পের সময় ঘরে সৃষ্ট আগুন নির্বাপনের দৃশ্য প্রদর্শন করা হয়। তাছাড়া ও অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে পাহাড়ের উপর সামান্য আহত ও অধিক আহত লোকজনকে কিভাবে নিরাপদ স্থানে নামিয়ে আনা যায় তার দৃশ্য, বহুতল ভবনের উপর থেকে এয়ার জাম্পিং এর মাধ্যমে উপরে আটকে পড়া লোকজনকে নীচে নামিয়ে আনা, ভবনের ভেতর আটকে পড়া লোকজনকে ইনচেরাগ পদ্ধতিতে বের করে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে এ্যাম্বুলেন্স এর সাহায্যে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরনের দৃশ্য প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ঝুকিপূর্ন দেশগুলো মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে আছে। এই ঝুকির হাত থেকে বাচার জন্য আমাদের পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যথিং অং ফায়ার সাভিসের প্রশংসা করে বলেন, আমার কলেজের পাঁচ হাজার ছাত্র ছাত্রী এই মহড়া থেকে অনেক শিক্ষা নিয়েছে। মহড়ার বাস্তব দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। ভূমিকম্পের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিতে হবে।
অনুষ্টানের সভাপতি সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, এ বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছোসেবক ও ভূমিকম্পসহ যে কোন দূর্যোগ/দুর্ঘটনায় মানুষের পাশে দাড়াতে পারবে।