এ.এম হোবাইব সজীব, চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাণিজ্যিক চাষ করা ও ২৫ বিঘার অধিক জমির মালিক থেকে সাধারণ খাতে লক্ষ্যমাত্রার বেশি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। তবে মামলা জটিলতার কারণে সংস্থা খাত থেকে কর আদায় হয়েছে নাম মাত্র। যার ফলে ১২৪ কোটি টাকার অধিক কর অনাদায়ী থেকে গেছে বনবিভাগের।
চকরিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী মিলন বড়ুয়া আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, গত অর্থবছরে সাধারণ খাতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি ৭ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫৩ টাকা। এই খাতে ডিমান্ডের অধিক ১ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৯ টাকা কর আদায় হয়েছে। আদায়ের হার ১০৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, সংস্থাখাতে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২৪ কোটি ৭৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৭ টাকা। এই খাত থেকে আদায় হয়েছে মাত্র ৯ লাখ ১ হাজার ৫৫৮ টাকা। বকেয়া টাকার মধ্যে শুধুমাত্র বনবিভাগেই অনাদায়ী রয়েছে ১২৪ কোটি ২৫ লাখ ৮৭ হাজার ২২৩ টাকা।
ভূমি অফিসের নাজির তপন কান্তি পাল আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, প্রায় দেড় যুগ আগে চট্টগ্রামের আদালতে বনবিভাগ কর আদায় নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ভূমি অফিসে কর আদায় না করতে দায়ের করা ওই মামলা ঝুলে থাকায় সংস্থা খাতে বিপুল অংকের কর অনাদায়ী রয়ে গেছে।
চকরিয়া উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মাহাবুবউল আলম আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারী ছাড়াও চারটি তহসিল অফিস যথাক্রমে- চিরিংগা, হারবাং, পূর্ব বড় ভেওলা ও কাকারার কর্মচারীরা সহযোগীতা করায় সাধারণ বা ব্যক্তিখাতে ভূমি উন্নয়ন কর আশাতীত আদায় হয়েছে। জটিলতা না থাকলে সংস্থাগুলোর কাছ থেকেও ডিমান্ড অনুযায়ী কর আদায় করা সম্ভব হতো।