এম.এ আজিজ রাসেল:
বিশ্ব সাহিত্যাঙ্গনে অনেক কবি, মহাকবি আছেন। কিন্তু বিশ্বকবি একজনই। তিনি আমাদের বাংলা সাহিত্যের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি তাঁর সাহিত্যে বিশ্বমানবতার জয়গান গেয়েছেন। বিশ্বায়নের যুগে ভবিষ্যতে যদি কখনো সমগ্র বিশ্ব একটি দেশে পরিনত হয়, তবে সে দেশের জাতীয় সংগীত রচনার জন্য রবীন্দ্রনাথের কাছে যেতে হবে।
এসময় আগস্ট মাসে সপরিবারে নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য একজন মহামানবের আগমন প্রত্যাশা করেছেন। বঙ্গবন্ধুই সেই মহামানব যিনি বাঙালি জাতিকে পরাধীনতা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। বর্তমান সময়ের অরাজকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্তির পথে রবীন্দ্রনাথের মানবিকতা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের আলোর পথে নিয়ে যাবে।
১২ আগস্ট সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৫তম মহাপ্রয়াণ স্মরণে জেলা শিল্পকলা একাডেমি কক্সবাজার আয়োজিত ‘তুমি রবে নিরবে’ অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কক্সাজারের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আহসানুল হক, আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামসেদ, সংগীত ব্যক্তিত্ব প্রবীর বড়ুয়া, কবি সিরাজুল হক সিরাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়াজ মাবুদ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন পারিয়েল সামিহা।
সংগীত পরিবেশন করেন অধ্যাপক রায়হান উদ্দিন, সুলেখা বড়ুয়া, তারেক হাসান, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, সোহেল রানা, বাবু, সুমি, সেলিম, খুশি।
আবৃত্তি পরিবেশন করেন প্রবীণ শিক্ষক রাজবিহারী দাশ, ইরা, তাসিন। নৃত্য পরিবেশন করেন সুমি, ত্রৈশী, অদিতি, অর্পা, বৃষ্টি, অদ্রি, আদর, নিহা, তিতীক্ষা, সম্পূর্ণা ও কাব্য। নৃত্য পরিচালনা করেন মনিকা বড়ুয়া। যন্ত্রশিল্পী ছিলেন জাহাঙ্গীর খান, সাগর দাশ ও জাহাঙ্গীর আলম।