লামার পার্শ্ববর্তী চকরিয়ার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নস্থ হেব্রন খ্রিস্টান মিশনে ২১ শিশু পরিবারকে একটি করে গাভী গবাদি পশু, পুষ্টিকর খাদ্য, সাংস্কৃতিক সরঞ্জাম ও ফলজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
সেখানে এলাকায় সম্প্রীতি বন্ধন যেন সুদৃঢ়ভাবে গড়ে উঠে, বাল্য বিবাহ নিরসনসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম, শিশুর সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত, অভিভাবকদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা ও শিক্ষা সচেতনতার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প,বিলছড়ি (বিডি-০৫০২) নামের একটি বেসরকারী সংস্থা। এ ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় উপকারভোগী শিশু পরিবারকে আর্থসামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কমপেশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (সিআইবি) অর্থায়নে ২১ পরিবারের মাঝে গবাদি পশু, গাছের চারা, সিএসপি উপকারভোগী মা’দের মাঝে পুষ্টিকর খাদ্য ও বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ হতে সাংস্কৃতিক সরঞ্জাম বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নস্থ হেব্রোণ মিশনের অংসরাই মিলনায়তনে সংস্থার লোকাল সেন্টার কমিটির চেয়ারম্যান মনতাজন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ও প্রকল্পের কানেক্ট অপারেটর প্রশান্ত ত্রিপুরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন বমু বিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের ও সদস্য শফিকুর রহমান, আগাপে’র চেয়ারম্যান ডা. জন বাহাদুর ত্রিপুরা, ভাইস চেয়ারম্যান মহেন্দ্র ত্রিপুরা ও ট্রেজারার বীরজয় ত্রিপুরা, হেব্রোণ মিশনের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক বীর বাহাদুর ত্রিপুরা ও সংস্থার প্রকল্প ব্যবস্থাপক যোনা ত্রিপুুরা প্রমুখ।
আলোচনাসভা পরবর্তীতে ২১ পরিবার একটি করে গবাদি পশু গরু, ১৫ পরিবারে পুষ্টি খাদ্য, ১৭ পরিবারে ফলজ গাছের চারা ও সাংস্কৃতিক সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।অভিভাবকদের মাঝে গবাদি পশু প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প এর ব্যবস্থাপক যোনা ত্রিপুরা বলেন, সংস্থাটি আগাপে’র অধীনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম করে চলেছে। এ প্রকল্পে বর্তমানে ২৬১টি পরিবারের হতদরিদ্র শিশু উপকারভোগী আছে। ভবিষ্যতে আরো দরিদ্র শিশুদের বাছাইয়ের মাধ্যমে অর্ন্তভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন,বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী লামা সদর ও পৌরসভার কতিপয় হতদরিদ্রও বিশেষ বিবেচনায় সহায়তা করা হচ্ছে।