ক্লাসে ঠিক মতো পড়ানো হয় না। ৪৫ মিনিটের ক্লাসে ১০ মিনিট পড়ালে ৩৫ মিনিট শুধু আজেবাজে কথা বলে সময় নষ্ট করে শিক্ষার্থীদেরকে কোচিংয়ে পড়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর চাম্বি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তিএই শিক্ষকের নাম নুরুল ইসলাম। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি শিক্ষক। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, নিজ ক্লাসের শিক্ষার্থীকে শিক্ষক কোচিংয়ে পড়াতে পারবেন না বলেছেন, সেখানে ক্লাসে ঠিক মতো না পড়িয়ে কোচিংয়ে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষার্থী। এমনকি কোচিংয়ে পড়ার জন্য বাধ্য করতে বিভিন্নভাবে হুমকীধমকী দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছে শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, নুরুল ইসলাম স্যার (ইংরেজি শিক্ষক) বলেছেন কোচিংয়ে তাড়াতাড়ি ভর্তি হয়ে যেতে। না হয় আমাদের ব্যাপারে নাকি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়াও নুরুল ইসলাম স্যারের কোচিংয়ে না পড়ার কারণে শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার অভিযোগের কথাও স্বীকার করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদেরকে ক্লাসে ঠিক মতো পড়ানো হয় না। ৪৫ মিনিটের ক্লাসে ১০ মিনিট পড়ালে ৩৫ মিনিট শুধু আজেবাজে কথা বলে সময় নষ্ট করে নুরুল ইসলাম স্যার’
খবর নিয়ে জানা যায়, নুরুল ইসলাম নামের এই ইংরেজি শিক্ষক নিজ বিদ্যালয়েই সকাল বিকাল তার কোচিং এর ব্যাচ পড়ান এবং কিছু শিক্ষক বিশেষ ক্লাস করার ব্যাপারেও খবর পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে শিক্ষক নুরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেস্টা করলে উনার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো: আবদুচ ছত্তার বলেন, আমি পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস করার অনুমতি দিয়েছি, কোচিং করার অনুমতি দিই নি। আমার অগোচরে কোচিং চালালে তা আমি জানি না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।
বান্দরবান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সরিৎ কুমার চাকমা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। এভাবে কোচিং চালানোর নিয়ম নাই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।