সামাজিক সম্প্রীতি ছাড়া রাষ্ট্র, সমাজ উন্নত হতে পারে না। সমাজে বৈষম্য থাকলে, কেউ সফল হতে পারে না। অন্যের ধর্মকে সম্মান জানালেই, সেও আমার ধর্মকে সম্মান জানাবে। তবে আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বজায় থাকবে। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যেও ঐক্যবদ্ধ সামাজিক সম্প্রীতি দরকার।
রবিবার বিকালে কক্সবাজার পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল শৈবাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘সামাজিক সম্প্রীতি সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এ কথা বলেন।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, জেলা শিক্ষা অফিসার মো: নাছির উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক ফাহমিদা বেগম প্রমুখ।
ইয়ুথ লিটার বেলাল উদ্দিন জয়’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন, চকরিয়া আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এড. লুৎফুল কবির, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বাহারী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি রতন দাশ, সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. বাপ্পি শর্মা, সাধারণ সম্পাদক বলরাম দাশ অনুপম, সম্প্রীতি বাংলাদেশ জেলা কমিটির আহবায়ক প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যন হেলেনাজ তাহেরা, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জিকু, ঈদগাও সুজন সভাপতি মনজুর আলম, প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম জাবের, কক্সবাজার ইমাম সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ছিদ্দিকী, বাপা কক্সবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, ফোর্ব লিডারশীপ নেটওয়ার্কের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. শাহনাজ করিম, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রতিনিধি শশাংক, মায়নুল ইসলাম, আবদুর রব প্রমুখ।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ও ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের আয়োজনে এবং ফ্রিডম অফ রিলিজিওন অর বিলিফ নেটওয়ার্ক-এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত সামাজিক সম্প্রীতি সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়, কক্সবাজার সরকারি বালিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ঘৃণা-বিদ্বেষ এর বিস্তারের কারণ ও প্রতিকারের উপায়, এক্ষেত্রে সরকার, রাজনীতিবিদ, নাগরিক ও তরুণদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
সংলাপে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ সমাজ গড়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। একটি সম্প্রীতির সমাজ গড়তে তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আলোচনায় উল্লেখ করা হয়। আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীগণ সম্মিলিতভাবে সমাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন।