আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের অবশ্যই ভুল-ত্রুটি থাকে, থাকবে। দুইশ বছর আগের সরকারেরও ভুল ত্রুটি ছিল, দুইশ বছর পরেও সরকারের ভুল-ত্রুটি থাকবে। পৃথিবীর কোনো সরকার দাবি করতে পারবে না অতীতে ও ভবিষ্যতে শতভাগ নির্ভুল কাজ করেছে, করবে। আমাদের অবশ্যই ভুল-ত্রুটি আছে। সেই ভুল-ত্রুটিগুলোকে যদি অনেক বড় করে দেখা হয়, অর্জনগুলোকে ছোট করে দেখানো হয় তাহলে সমাজের সঠিক চিত্র পরিশ্রুত হয় না। আমরা গণমাধ্যমের সহায়তা চাই।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। গণমাধ্যম সমাজকে সঠিক চিন্তায় করতে সহায়তা করে, গণমাধ্যম সমাজকে সঠিক খাতে প্রভাবিত করে। আবার গণমাধ্যম চেষ্টা করলে সমাজকে ভুল বার্তাও দিতে পারে। ১৪ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছেন। আজ বাংলাদেশ একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা গণমাধ্যমের সহায়তা চাই। কারণ গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যমের সহায়তা ছাড়া বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, বিতর্ক এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার ভিত গভীরে গঠিত হয় না। সেজন্য আপনাদের সহায়তা চাই। আমরা চাই অবশ্যই আমাদের ভুল-ত্রুটি আপনারা তুলে ধরুন। ঠিক একই সঙ্গে আজ যে দেশটা বদলে গেল, যে দেশের প্রশংসা বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে, বিশ্ব মন্দার মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট করে, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করে, জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করে সেটি বড় আকারে অনেক সময় পত্রিকায় আসে না। কিন্তু কেউ একজন একটি নেতিবাচক কথা বললে সেটি দেখা যায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে বড় আকারে পত্রিকায় আসে কিংবা টেলিভিশনে উপস্থাপিত হয়। আমরা এক্ষেত্রে আপনাদের সহায়তা চাই।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গণমাধ্যমের বিকাশের জন্য আমাদের সরকার অনেক কাজ করেছে। ২০০৯ সালে ৪৫০টি পত্রিকা ছিল, এখন সাড়ে ১২শ। ১০টি টেলিভিশন ছিল, এখন ৩৮টি সম্প্রচারে আছে। আরও কয়েকটি সম্প্রচারে আসবে। অনলাইন গণমাধ্যমের এক্সপেরিয়েন্টিয়াল গ্রোথ হয়েছে। আজ সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট শেখ হাসিনা করেছে। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা অবশ্যই আমাদের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে আরও ভালোভাবে, সবার সহযোগিতা নিয়ে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানা নিয়ে যেতে চাই। সেজন্য আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন। আমাদের ভুল-ত্রুটি অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন। কিন্তু অর্জনটুকু যেভাবে ফিচার হওয়ার দরকার সেটুকু উপস্থাপিত হবে, সেটি আপনাদের কাছে বিনীত নিবেদন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকরা।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট