রামুতে মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামজা বলেন, ভূমিকম্প এমন একটি বিষয়, এটি এক মিনিট আগেও পূর্বাভাষ দিয়ে যায় না। এটির মাধ্যমে বুঝতে হবে আল্লাহপাক আমাদেরকে সর্তক বার্তা দিচ্ছেন। অশ্লীলতা, অপকর্ম থেকে, সামাজিক ব্যভিচার থেকে দূরে থাকতে হবে আমাদের। আমরা মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করা থেকে দূরে থাকবো। আমাদের চিন্তা চেতনায় সদা জাগ্রত রাখেত হবে। সাদাকে সাদা বলা, কালোকে কালো বলা। ইসলামের নির্দেশ, সামাজিক জীবনে শাস্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন বিষয়ও আমাদের জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং পালন করতে হবে।
শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে রামু ইসলামিয়া এমদাদিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার ৫৩তম বার্ষিক সভায় প্রধান বক্তার বয়ানে পটিয়া আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামজা এ কথা বলেন।
সভায় তিনি বলেন, সমাজকে, দেশকে দূষিত করে যে কারণগুলো রয়েছে, তা আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। আজাব থেকে দেশকে এবং জাতিকে রক্ষা করতে হবে। আমরা আল্লাহ কাছে ক্ষমা চাই, তোওবা করি। আমরা দোয়া করি, আল্লাহপাক আমাদের হেফাজত করুক।
দ্বীনি ইসলামের আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলামের মূল মর্মবাণী হলো মানুষের সর্বস্ব আল্লাহ তাআলার কাছে সোপর্দ করে দেয়া।
মাওলানা আ হ ম নুরুল কবির হিলালীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় দ্বীনি ইসলামের আলোচনা করেন, পটিয়া আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা জাফর সাদেক, টেকনাফ জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি রিদুয়ানুল কাদির, রামু জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা শামসুল হক, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আবদুল হান্নান, রামু মুহাম্মদীয়া দারুচ্ছালাম মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইয়াকুব, মালুমঘাট সোবাহানিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ আব্দুল কুদ্দুছ সাহেব, পোকখালী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল, অফিসেরচর চরপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আমিনুল হক, রামু সিকদারপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। সভায় পবিত্র কোরআন থেকে দীর্ঘ আয়াত তেলওয়াত করেন, রামু জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক কারী হুমায়ুন কবির।
শুক্রবার জুমা’র নামাজের পর সভা শুরু হওয়া বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, সাতঘরিয়া পাড়া মুজাহেরুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ হারুন, রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ মোহছেন শরিফ।
সভায় প্রধান মেহমানের বয়ানের পূর্বে হেফজ বিভাগের ৮ জন শিক্ষার্থীকে দস্তারে ফযিলত প্রদান করা হয়। পবিত্র কোরআন হেফজ সমাপনকারী দস্তারে ফযিলত গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা হলেন, শিলখালী পূর্ব ভারুয়াখালী এলাকার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, চকরিয়া ফাঁসিয়াখালী এলাকার বদরুদ্দুজার ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ মিনহাজ, সোনাইছড়ি নতুন পাড়া এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে হাফেজ হারুনুর রশিদ, ডুলাহাজারা মালুমঘাট এলাকার মুহিউদ্দিনের ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ মুবারক হুছাইন, নেজাম উদ্দীনের ছেলে হাফেজ নাঈম উদ্দীন, আবুল হাসেমের ছেলে হাফেজ সাইফুল ইসলাম, চকরিয়া সওদাগর ঘোনা এলাকার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে হাফেজ ফজলুল কাদের, বরিশাল ভুলা এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে হাফেজ জহিরুল ইসলাম। সকালে অনুষ্ঠিত তামাদ্দনীক প্রতিযোগীতায় অনুষ্ঠিত হয়, এতে হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা কেরাত, আজান, হাম ও নাত বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন।
ইসলামিয়া এমদাদিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার ৫৩তম বার্ষিক সভা আয়োজনে সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন, মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এড. আবুল মনসুর, সাধারণ সম্পাদক একে খাঁন, অর্থ সম্পাদক মো. মাইমুনুর রশিদ, ফতেখাঁরকুল সিকদার পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা আবু ছাবের, ইসলামিয়া এমদাদিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ওবাইদুল গফুর, হাফেজ শফিউল আলম, হাফেজ বারেক উল্লাহ, হাফেজ মোহাম্মদ মিরাজ উদ্দিন।