রামুর শেখ হাসিনা জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী বিদায় অনুষ্ঠান। রবিবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিসিএস প্রশাসন একাডেমীর রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সমুদ্র বিজয়ী। তিনি ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাবনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জয় করেছেন ছিটমহল। দেশকে অনন্য অগ্রগতি ও অর্থনেতিক সমৃদ্ধি এনে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ^নেতা।
অনুষ্ঠান উদ্বোধনী বক্তব্যে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিসিএস প্রশাসন একাডেমীর রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিন বলেন, একসময় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ছিলো না। ফলে আমার মতো অনেককেই চেরাগ বা কুপি জ্বালিয়ে লেখাপড়া করতে হয়েছিলো। চলাচলের সড়ক না থাকায় খালি পায়ে হেঁেট বিদ্যালয়ে যেতে হতো। অথচ এখন এসব কল্পনারও বাইরে। এখন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। সড়কগুলো এখন উন্নত। গ্রামগুলো রূপ নিয়েছে শহরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেত্বত্বে বাংলাদেশ এখন অনন্য উচ্চতায় এগিয়ে গেছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ এর স্বপ্ন পূরণে দেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বর্তমান প্রজন্ম স্মার্ট বাংলাদেশের গর্বিত অংশীদার হবে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ভারত, পাকিস্থান, নেপালের চেয়েও বেশী। শিক্ষাক্ষেত্রে দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। বছরের শুরুতে বিনামূল্যে ৩৬ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায় থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জনকালে শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে উপবৃত্তি। লেখাপড়ার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যেন কারিগরি জ্ঞান অর্জন করে উন্নত-পশ্চিমা বিশে^ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখতে পারে। এজন্য বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি পাঠদানে আরবী-ইংরজি ভাষা চর্চাকে আরও বেশী গুরুত্ব দেয়া হবে।
সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন বলেন, ৪ জন ছাত্রী নিয়ে ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করে শেখ হাসিনা জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৬০০ জন ছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে।
শেখ হাসিনা জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইনের সভাপতিত্বে ও স্বাগত বক্তৃতায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাছির উদ্দিন উদ্দিন, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামশুদ্দিন আহমদ প্রিন্স, শিক্ষাবিদ ইঞ্জিনিয়ার মীর কাশেম, জোয়ারিয়ানালা এইচ এম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক সিকদার, জারাইলতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোছাইনুল ইসলাম মাতবর প্রমুখ। শিক্ষক নুরুল হাকিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বক্তৃতা করেন, শিক্ষক আবদুল ওদুদ, শিক্ষার্থী সাফরিনা সাইফা ও নাঈমা মুস্তারি সাদিয়া।
দুপুর ১২টায় বিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে প্রধান অতিথিকে গার্লস গাইড দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। আলোচনা অন্ষ্ঠুানের পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে অতিথিবন্দ বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।