পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বান্দরবানের লামা উপজেলার রুপসী পাড়া ইউনিয়নে এক পরিবারের বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে ঝিরি ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়,ঝিরি ভরাটের ফলে কৃষি জমিতে পানি প্রবাহে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। লামার রুপসী পাড়া ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের শামুকঝিরি এলাকায় ছলমা খাতুন ও আবুল বাশার দম্পতির বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে পানি নিস্কাশনের ঝিরি ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে দেখা যায়,বাড়ির সামনের উচু পাহাড়ের বিশাল একটি অংশ কেটে নিচে থাকা ঝিরি ভরাট করা হয়। সুযোগ বুঝে মানুষ দ্বারা পাহাড়ের মাটি কাটছেন। আবার কাটা মাটি পাশের ফসলি জমি ও পাহাড়ি পানি নিস্কাশনের ঝিরিতে ফেলছেন। পাহাড়ের মাটি ঝিরিতে ফেলার কারণে নাব্যতা হ্রাসের পেয়ে পানি নিস্কাশনের ঝিরির গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে উজাড় করা হয়েছে পাহাড় জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বৃক্ষরাজিও।
স্থানীয়দের অভিযোগ,পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলেও নেওয়া হয়নি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তারা পাহাড় কাটাসহ এই পরিবেশ বিনাশী কর্মকান্ড বন্ধের দাবী জানান। এলাকাবাসী পরিবেশ বিধংসী এসব কর্মকান্ডে বাধা প্রদান করলেও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পাহাড় কেটে ঝিরি ভরাট করতে থাকেন আবুল বাশার ও তার স্ত্রী ছালমা বেগম।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ মতে পাহাড় বা পাহাড়ি টিলাভূমি যা প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি তা কর্তন বা রূপের পরিবর্তন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই আইনে জড়িতদের ২-১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড ২-১০ বছর কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। অথচ এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে চলছে পরিবেশ বিধ্বংসী বিভিন্ন পাহাড় কর্তন।
এদিকে অভিযুক্ত আবুল বাশার ও স্ত্রী ছালমা বেগম বলেন,দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বাড়ির পাঁশে থাকা ঝিরি ভরাট করছি আমরা। পরবর্তীতে বাড়ি নির্মাণ করবো।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সীতারঞ্জন বড়ুয়া বলেন এলাকায় পাহাড় কাটা হচ্ছে কিনা আমি অবগত নই।
লামার রুপসী পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন,পাহাড়ে বসবাস করতে একটু পাহাড় কাটতে হয়। আর কোন জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকলে এখানে আসলে সমাধান করার চেষ্টা করব।