রামুতে মিনি ট্রাক ও অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও দুজন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
৭ এপ্রিল, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের (কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক) রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ভরাব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখাঁ কোলালপাড়া এলাকার মৃত আনু মিয়া সওদাগরের ছেলে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বদিউল আলম। তিনি কোর্টবাজার ফোর স্ট্রোক সিএনজি মালিক ও চালক সমবায় সমিতির সদস্য। নিহত অপর দুইজন হলেন সিএনজি যাত্রী রোহিঙ্গা ওসমান গনি ও তার ভাই মোহাম্মদ হাছান।
নিহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে এবং আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান, রামু তুলাতলী হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম।
এ ঘটনায় আহত সিএনজি যাত্রী মোক্তার আহমদ বাবুল ও ফিরোজ আহমদকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপর নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
স্থানীয়রা জানান, টেকনাফগামী একটি মিনি ট্রাক কক্সবাজারগামী একটি সিএনজিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে সিএসজি চালক বদিউল আলম সহ তিনজন মারা যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে রামু হাইওয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। দুর্ঘটনাকবলিত সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
আহতরা জানান, সিএনজি অটোরিকশায় চালকসহ ৬জন যাত্রী ছিলেন।
খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক জানান, কক্সবাজারমুখী অটোরিকশার সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মিনি ট্রাকের সংঘর্ষ ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালকসহ তিনজন নিহত হয়।
দূর্ঘটনার বিষয়ে রামু তুলাতলী হাইওয়ে থানার (ওসি) মেজবাহ উদ্দীন জানান, সকালে এ দূর্ঘটনায় সিএনজি চালক ও যাত্রীসহ ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়। আহত দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে গাড়িতে মোট কয়জন যাত্রী ছিলেন তিনি জানেন না বলে জানান।