‘বরষা ঋতু এলো, এলো বিজয়ীর সাজে/ বাজে গুরু গুরু আনন্দ ডম্বরু অম্বর মাঝে’—জাতীয় কবির কবিতার মতো বর্ষা আসে প্রতি বছর। আজ ১৫ জ্যৈষ্ঠ। আনুষ্ঠানিক বর্ষা ঋতুর আগমনের বাকি পাক্কা ১৫ দিন। কিন্তু আবহাওয়া অধিদফতর বলছে—আর সপ্তাহখানেকের মধ্যে মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটতে পারে। শুরু হতে পারে বর্ষার দিন।
পঞ্জিকাতে আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সাধারণত দেশে মৌসুমি বায়ু আগমনের মধ্য দিয়ে বর্ষা মৌসুমের শুরু হয়। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশের টেকনাফ উপকূলে এসে পৌঁছে যেতে পারে এই মৌসুমি বায়ু। যা এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত এগিয়েছে। তিনি জানান, টেকনাফের দিকে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে চলে এলে ওই এলাকা দিয়ে শুরু হবে বৃষ্টি৷ এরপর ধীরে ধীরে ছড়িয়ে যাবে সারা দেশে। ফলে জুনের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বৃষ্টি বৃদ্ধি পেয়ে তাপমাত্রা কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, জুন মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ মাসের প্রথমার্ধে সারা দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করতে পারে। এ মাসে দেশে ২ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি মৌসুমি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে খুলনা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের কোথাও কোথাও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে, বৃষ্টির আগেই ঢাকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে সকলকে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আগেভাগে সচেতনতা বৃদ্ধির নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বর্ষা শুরু হলে তাপমাত্রা কমলে বিদ্যুতের চাহিদাও কমে আসবে। বিদ্যুতের চাহিদা কমলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতিরও উন্নতি ঘটবে বলে মনে করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউনৃ