নঈম আল ইস্পাহান, রামু।
মানুষ সামাজিক জীব।সমাজ উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্তকাঠি পারষ্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ,প্রীতি ও ভালবাসার সেতুবন্ধন।তাই সামাজিক সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৪ সালের ১৯শে আগষ্ট আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জায়েদুর রশিদ জায়েদ ফেসবুকে “আলোকিত রাজারকুল” নামক ফেসবুক গ্রুফের সূচনা করেন।যার সদস্যরা শুধুমাত্র রাজারকুলের ফেসবুক ব্যবহারকারীগণ।
গ্রফটি রাজারকুলের সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীগণের মিলনমেলা।
রাজারকুলের সকল খবরাখবর,সকলের সার্বিক অবস্থা জানার একটি সহজ মাধ্যম।অল্প দিনেই আলোকিত রাজারকুল সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করে।রাজারকুলের সবাই নিজ আগ্রহ ও উৎসাহের সহিত এইগ্রুফে যোগ দিতে থাকে।গ্রুফের উদ্দেশ্য ছিল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ রাজারকুলের সকল মানুষের সাথে একটি সামাজিক যোগাযোগ স্থাপন।
অসহায়,দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো।গরিব মেধাবী শীক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিভিন্নভাবে সাহায্য প্রদান করা।
এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত গণসচেতনতা তৈরি করা।এই গ্রুফের মাধ্যমে ফুটে উঠতে শুরু করে রাজারকুলের অজানা সব সমস্যা।আর সকল সমস্যা নিরুপনে আলোকিত রাজারকুল ছিল সর্বদা সচেষ্ট।
২০১৪ সালে সূচনার বছরে আলোকিত রাজারকুল তাদের প্রথম উদ্যোগ গ্রহন করে রাজারকুলের অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে নিজস্ব ফান্ড থেকে শীতবস্ত্র বিতরনের।যার সমস্ত অর্থ সংগৃহীত হয় রাজারকুলের সকল প্রতিষ্ঠিতদের নিকট থেকে।তারা প্রথমবারেই দুইশত পরিবারকে কম্বল বিতরণ করে।
আলোকিত রাজারকুল একের পর এক রাজারকুলের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে থাকে।অসহায়,গরিব যারা অর্থের অভাবে চিকিৎসা বজ্ঞিত তাদেরকে আলোকিত রাজারকুল নিজ অর্থে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
২০১৫সাল ছিল রাজাকুলবাসীর জন্য স্মরণীয় একটি বছর।এই বছর রাজারকুল একবার নয় বহুবার স্মরণকালের সেরা ভয়াবহ বন্যায় লন্ডভন্ড হয়ে যায়।উক্ত বন্যাতে রাজারকুলবাসীকে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়।রাজারকুলের সেই দুঃসময়ে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে নিঃস্বার্থ ভাবে দাঁড়িয়েছিল “আলোকিত রাজারকুল”
রাজারকুলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে আলোকিত রাজারকুল গ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।তারা এলাকার গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ইতিমধ্যে।যা রাজারকুলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে আলোকিত রাজারকুল প্রথম বছরের ধারাবাহিকতায় এলাকার দরিদ্র দুইশত পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করে।
আলোকিত রাজারকুল সামাজিক বন্ধন অটুট রাখার একটি সুদক্ষ চিন্তাভাবনা।সে ক্ষেত্রে তারা আজ সফল।গত দুবছর ঈদ,পূজা বা বিভিন্ন উৎসবে আলোকিত রাজারকুল তাদের সকল সদস্যদের নিয়ে আয়োজন করে আসছে সৌজন্যসভা।যেখানে সকলে অবাধে তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করে।
বিভিন্ন চিন্তাভাবনা,সমস্যার কথা ফুটে উঠে উক্ত আলোচনায়।যা তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
আলোকিত রাজারকুলের অন্যতম স্লোগান- রাজারকুলের মানুষ অবহেলিত থাকবেনা।সবাই একে অপরের সুখ,দুঃখে মিলে মিশে বাঁচবে।