দৈনিকশিক্ষা:
দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে উপজেলা পর্যায়ের স্কুল যেখানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা পর্যাপ্ত নয়; সেসব প্রতিষ্ঠান চাইলে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতেও ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। আর বেসরকারি স্কুল যাদের সক্ষমতা রয়েছে, তাদের অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
এ ছাড়া গত বছরের মতো এবারও ঢাকা মহানগরীর সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তিতে নিজ নিজ এলাকার জন্য ৪০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ থাকবে। সরকারি স্কুলের ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ করে দেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর। বেসরকারি স্কুলের জন্য ক্যাচমেন্ট এরিয়া ঠিক করবে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ। সরকারি স্কুলগুলোর জন্য ভর্তি নীতিমালা তৈরি করতে একটি বৈঠক করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর বেসরকারি স্কুলের ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার বৈঠক করবে মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ভর্তি নীতিমালার বিস্তারিত চূড়ান্ত করা হবে। সেখানে স্কুল শিক্ষকরাও থাকবেন, তাদেরও মতামত নেওয়া হবে। তবে গত বছরের চেয়ে খুব বেশি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে জানুয়ারির এক তারিখে বয়স ছয় প্লাস হওয়া লাগবে। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বিদ্যালয়গুলো নির্ধারণ করবে। প্রথম শ্রেণিতে আবশ্যিকভাবে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। বয়স প্রমাণের জন্য নিবন্ধন সনদ লাগবে।
এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে গত বছরের মতোই ৫০ নম্বরের এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ১০০ নম্বরের ২ ঘণ্টার পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে বাংলা ১৫, ইংরেজি ১৫ ও গণিতে ২০ নম্বর করে মোট ৫০ নম্বরের এক ঘণ্টার এবং অন্যান্য শ্রেণিতে বাংলা ৩০, ইংরেজি ৩০ ও গণিতে ৪০ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের ২ ঘণ্টার পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া ৪০ শতাংশ এলাকা কোটার বাইরেও এবার ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ২ শতাংশ প্রতিবন্ধী, এক শতাংশ লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের শিশু ও দুই শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাকি ৫০ শতাংশ আসনে সব শিশুই আবেদন করতে পারবে।