দৈনিকশিক্ষা:
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রত্যয়ন বিধিমালার ৯(২) ধারা সঠিকভাবে অনুসরণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানী করে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের দ্বৈত বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যয়ন বিধিমালার ৯ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে- নিয়োগের ক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপজেলা, জেলা এবং জাতীয় ভিত্তিক মেধাক্রম অনুসারে ফলাফলের তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করা হবে।
এ বিধিমালাটি সঠিকভাবে অনুসরণ না করায় নাটোরের জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন জেলার ৬০ জন ব্যাক্তি হাইকোর্টে রিট করেন । শুনানি শেষে আদালত আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আবেদনকারীরা হলেন নিয়োগ বঞ্চিত নাটোর জেলার মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠাকুরগাঁও জেলার মো. সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলার পরিতোষ চন্দ্র হালদার, গাইবান্ধা জেলার রেজাউল করিম, খুলনা জেলার কোহিনূর আলমসহ বিভিন্ন জেলার ৬০ জন।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সরকার ২০০৫ সালে এনটিআরসিএ গঠন করে। এরপর শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০০৬ সালে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা প্রণয়ন করে এবং সবশেষ ২০১৫ সালে সংশোধন করা হয়।
মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া জানান, সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১২ হাজার ৬১৯টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় এনটিআরসিএ। সম্প্রতি ফলাফল ঘোষণা করা হলে দেখা যায়, সেখানে আইন অনুসরণ করা হয়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ভুক্তভোগীরা বিষয়টি নিয়ে রিট আবেদন করেন।