জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রভাবে সৃষ্ট সুনামি অধ্যুষিত অঞ্চলের প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিরাপদে। বড় কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ফুকুশিমা, সেন্দায়, আওয়াতে, ইবারাকি, মিয়াগি প্রদেশে সুনামি সর্তকতা জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আগে সকাল ৮টার দিকে ১ দশমিক ৪ মিটারের সুনামি আঘাত হানে সেন্দায় নৌ বন্দরে।খবর বিডিনিউজের।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকের ভিডিওচিত্রে নদীগুলোতে ধেয়ে আসা ঢেউ লক্ষ করা গেছে।
সেন্দায় থেকে আব্দুল লতিফ নামের এক শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় সব কিছু কেঁপে উঠেছিল। ভূমিকম্প টের পেয়ে সজাগ হওয়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি।
“ওই সময় টেবিলে রাখা জিনিসপত্র মাটিতে গড়াগড়ি করছিল।”
এরপরে কয়েক দফায় পরাঘাতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ার কথা জানান তিনি।
লতিফ বলেন, সেন্দায়ে প্রায় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি থাকেন। এখন পর্যন্ত কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সুনামি সর্তকতার পরও তার গবেষণাগারের সহপাঠীরা স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানান তিনি।
সেন্দায় থেকে মাত্র ৪৬ কিলোমিটার দূরে সেন্দায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আর এর কিছু দূরেই ফুকুশিমা প্রদেশ। ভূমিকম্পের পর ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে টোকিও পাওয়ার কোম্পানি-টেপকো।
আব্দুল হাই সিদ্দিকী নামের আরেক প্রবাসী বলেন, “সকালে যে ঝাঁকুনি খেয়েছি তা জাপানে আসার পর অনেক বড়। আমরা এখন স্বাভাবিক ও সুস্থ রয়েছি।”
ফুকুশিমা থেকে রাসেল আহম্মেদ নামের এক বাঙালি শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে সাইরেনের শব্দ ঘুম ভাঙে। সিটি কর্পোরেশন থেকে বার বার মাইকিং করা হচ্ছিল নিরাপদে থাকতে।
“আমরা বাঙালিরা এখানে ভালো আছি। বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনার খবর আপাতত নেই।”