আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল পেছানো হতে পারে বলে দলের এক নেতার বক্তব্যের দুদিনের মাথায় সাধারণ সম্পাদক তা নাকচ করে দিয়েছেন।
যদি প্রয়োজন হয় তবে ওয়ার্কিং কমিটি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, “যেহেতু এবারই প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন হতে যাচ্ছে, আর এই নির্বাচন জাতীয় ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকল নেতাকর্মী নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এসব বিষয় চিন্তা করে সামনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করা হতে পারে।”
গত ৯ জানুয়ারি গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ২৮ মার্চ কাউন্সিল অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ১৯তম জাতীয় কাউন্সিল হয়। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত ২৯ ডিসেম্বর।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, “কাউন্সিল পেছানোর ব্যাপারে দলের এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফেজের সঙ্গে ‘ক্ল্যাশ’ করে তাহলে হয়ত বিবেচনা করতে পারি। এখন পর্যন্ত এটা বিবেচনা করিনি।”
“এটা এখনও আমাদের কাছে ইস্যু হয়নি। যদি আসে, ইস্যু আসে, এটা আমরা অফকোর্স বিবেচনা করব।”
সেক্ষেত্রে নির্ধারিত তারিখেই কাউন্সিল হচ্ছে কি না জানতে চাইলে আশরাফ হ্যাঁ সূচক উত্তর দিয়ে বলেন, “যদি পরিবর্তন হয় সেটা ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে আসবে, সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে থাকা দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তের আগে কেউ যদি কাউন্সিল পেছানোর কথা বলে থাকেন, তাহলে তা হবে তার ‘নিজস্ব বক্তব্য’।
অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
(বিডিনিউজ)