লাইফস্টাইল ডেস্ক:
একই সঙ্গে বিরক্তিকর আর যন্ত্রণাদায়ক হচ্ছে চুলে জটে। সাধারণ চুলের চাইতে কোঁকড়া চুলের জট আরও বেশি বেদনাদায়ক।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চুলের এই বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতে কিছু যত্নের বিষয় উল্লেখ করা হয়।
নিয়ম করে চুলের আগা ছাঁটুন: চুলের আগা ফাটার মানে হল আগা পাতলা হয়ে আসছে। আর পাতলা চুলে জটও বাঁধে সহজে। তাই আগা ফাঁটা চুল থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত চুলের আগা ছেঁটে নিতে হবে। এতে চুলে জটও কম পড়বে এবং ভেঙে যাওয়ার সমস্যাও কমবে।
প্রতিদিন শ্যাম্পু নয়: প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা হলে এর প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে ফেলে। ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যায় এবং গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাথার ত্বকে স্বাভাবিক তেল চুল সুস্থ ও কোমল রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে চুলে জট বাঁধে না। প্রয়োজন অনুসারে সপ্তাহে দুতিন দিন শ্যাম্পু করতে হবে।
চুল খোলা রাখা ঠিক নয়: সব সময় খোলা রাখলে দ্রুত চুলে জট বেঁধে যায়। তাই খোলা চুল ভালোবাসলেও বেশিরভাগ সময়ই বেঁধে রাখার চেষ্টা করুন। দিনে দুতিনবার চুল আঁচড়ান এবং ঝুটি বা বেণি করে রাখুন।
চুলের যত্নে মাস্ক: চুল আর্দ্র রাখতে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাতে নিয়ম করে মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। ঘরোয়া উপাদান দিয়েই চুলের জন্য উপযোগী মাস্ক তৈরি করা যায়। তাই চুলের চাহিদা বুঝে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সুস্থ এবং মশ্রিণ চুলে জট কম হয়।
এড়িয়ে চলুন ‘স্টাইলিং টুলস’: নিয়মিত ‘স্ট্রেইটনার’, ‘কার্লার’ বা ‘হেয়ার ড্রায়ার’ ব্যবহারের কারণে চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। শুষ্ক চুলে জটও বাঁধে সহজে। এছাড়া অতিরিক্ত ‘স্টাইলিং টুলস’য়ের ব্যবহারের ফলে চুল ফাঁটা, ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন ‘স্টাইলিং টুলস’ ব্যবহারের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
সিরাম ও তেলের ব্যবহার: বিশেষ ধরনের স্প্রে, সিরাম এবং ক্রিম পাওয়া যায়। যা ব্যবহারের ফলে চুলের উপর একটি মশ্রিণ পরত পড়ে এবং এতে জটও কম বাঁধে। চুলের ধরন বুঝে সিরাম বা ক্রিম বেছে নিতে হবে। এছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহার করলেও জট পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
চুলের আগায় কন্ডিশনার ব্যবহার: চুলের মাঝামাঝি থেকে আগা পর্যন্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এতে চুল কোমল থাকবে। তাছাড়া শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি।
কেমিকল প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন: কেমিকল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু নিয়মিত ব্যবহারে চুল শুষ্ক ও প্রাণহীণ হয়ে যায়। এ ধরনের চুলে জটও বাঁধে বেশি। তাই কেমিকল প্রসাধনী এড়িয়ে চলা উচিত। শ্যাম্পু কেনার সময় এতে অ্যালকোহল আছে কিনা দেখে নেওয়া জরুরি। চুলের যত্নে ভেষজ উপাদান থেকে তৈরি প্রসাধনী বেছে নিলে উপকার বেশি হবে।
সূত্র: বিডিনিউজ।