আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর পরিচালিত মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সেখানে একটি তদন্ত কমিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করেছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর পক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য সদস্য দেশগুলো। এতে পরিকল্পনাকারীদের দায় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে চীন ও ভারত ভোটের সময় প্রস্তাব থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। চীন বলেছে, ‘এ সমস্যা এক রাতে সমাধান করার মতো নয়।’ একই সঙ্গে মিয়ানমার একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত মাসে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংসতা থেকে বাঁচতে প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। এদের মধ্যে ২২০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জানা গেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও গণধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়েছে, যা প্রায় মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং সম্ভাব্য জাতিগত নির্মূল চেষ্টা।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত প্রস্তাবের বিপক্ষে তার দেশের অবস্থান জানিয়ে বলেছেন, ‘যেহেতু বাস্তব ও আমাদের জাতীয় পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো সাদৃশ্য নেই সেহেতু এ ধরণের উদ্যোগ মিয়ানমারের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। মিয়ানমারের লোকজনকেই তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর ও সর্বোত্তম পন্থা বেছে নেওয়ার সুযোগ দিন।’
তিনি বলেছেন, ‘ যা করার দরকার আমরা তা করছি এবং আমরা এটা দূরদর্শিতা ও সততার সঙ্গে করব।’
এদিকে মানবাধিকার কর্মীরা জাতিসংঘের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে একে ‘মাইলফলক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা মিয়ানমার সরকারকে তদন্ত কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: রাইজিংবিডি।