গিয়াস উদ্দিন ভুলু:
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সেই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র সারাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে দেশকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে অশান্ত করার চক্রান্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই সমস্ত সন্ত্রাসীদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর হাতে দমন করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
টেকনাফ উপজেলার সীমান্তের যুব সমাজরা মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসার সাথে লিপ্ত হয়ে গেছে। কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবাসহ যাবতীয় মাদক পুরো দেশে ছড়িয়ে দিয়ে জাতিকে মেধাশূণ্য এবং যোগ্য নেতৃত্ব সংকটে ফেলে দিচ্ছে। তাই আমাদের দাবি জননেত্রী শেখ হাসিনা এই মাদক পাচার প্রতিরোধ ও মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রশাসনের সদস্যদেরকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে।
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ও মাদক মুক্ত দেশ উপহার দিতে সবাইকে দলমতের উর্ধ্বে উঠে এসব মাদক বাণিজ্য চোরাচালান ও পাচাররোধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতিকে ভোট প্রধান করে বিজয় সু-নিশ্চিত করতে হবে। আর যারা দলীয় প্রতীক নিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে দলের নিকট অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। তার পাশাপাশি শেখ হাসিনার ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে দলের নেতাকর্মীদের স¤পৃক্ত করতে হবে।
আমরা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড জনসাধারণের নিকট তুলে ধরার জন্য আপনাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছি। জনপ্রতিনিধি থেকে দলীয় নেতা-কর্মী সবাইকে দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে চলতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশে উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতার শপথ বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আহবান জানান।
অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক মুজিবুর রহমান প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানিয়ে বলেন আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম মেম্বারের খুনী এবং স্বশস্ত্র রোহিঙ্গাদের নেতা পাহাড়ে অবস্থানকারী আব্দুল হাকিম ডাকাতকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন।
২৭ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টায় টেকনাফ বাসষ্টেশনে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আলহাজ¦ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশরের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। প্রধান বক্তা ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ আলম,রেজাউল করিম, শ্রমবিষয়ক স¤পাদক কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম,এ মঞ্জুর, উপদপ্তর স¤পাদক আবু তাহের আজাদ, সদস্য রশিদ আহমদ, সোনা আলী,জিএম কাশেম, বদরুল হাসান মিল্কী ও মিজানুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম,এ গণি, গোলাম সোবহান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সেলিম সিকদার, মাহবুব মোরশেদ, সাংগঠনিক স¤পাদক হাফেজ উল্লাহ, এজাহার মিয়া, দপ্তর সম্পাদক বদিউল আলম বদি, তথ্য ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক স¤পাদক নজির আহমদ সীমান্ত, অর্থ স¤পাদক কামাল আহমদ, উপ-প্রচার সম্পাদক নবী হোছন, উপদপ্তর স¤পাদক ইউছুপ ভূট্টো, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক হারুন অর রশিদ সিকদার, টেকনাফ সদরের সাধারণ স¤পাদক গুরা মিয়া, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম চেয়ারম্যান, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলতান মাহমুদ ও সাধারণ স¤পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্না প্রমুখ।
এছাড়া টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামাল উদ্দিন বাচু, জাফর আলম সাদেক, হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিকদার, বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক নুরুল হক, যুগ্ন-আহবায়ক সাইফুল্লাহ কোম্পানী, সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শব্বির আহমদ মেম্বার প্রমুখ।