রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যার জেরে পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। সোমবার (৬ জুন) ভোর ৫টার থেকে পাহাড়িদের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ডাকে এ অবরোধ শুরু হয়। বেলা ১২টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে।
অবরোধের কারণে রাঙামাটি শহরের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও শহর থেকে দূরপাল্লার কোনও বাস বা লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। রাঙামাটি শহরে ইউপিডিএল’র কার্যক্রম না থাকায় কোনও পিকেটিং ঘটনা ঘটেনি। তবে সংগঠনটির নিয়ন্ত্রিত এলাকা নানিয়ারচর উপজেলায় পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া গেছে।
ইউপিডিএফ’র মুখমাত্র মাইকেল চাকমা মুঠফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্ত করে নয়নের খুনিদের বিচার করা যেতো। কিন্তু সেখানকার মানুষ সেই সুযোগটি না দিয়ে বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিলো। রমেল হত্যার বিচারকে ধামাচাপা দিতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি পরিকল্পতি।’
রাঙামাটি কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ মুঠোফোনে বলেন, ‘সকাল থেকে এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। কোথাও কোনও অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।’
রসঙ্গত,গত বৃহস্পতিবার লংগদু সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের লাশ দীঘিনালা উপজেলার চারমাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এই হত্যার জন্য পাহাড়ী সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে দায়ী করে শুক্রবার সকালে লংগদুতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে কয়েক হাজার বাঙালি। এই মিছিল থেকেই তিনটিলা, বাইট্টাপাড়া এবং মানিকজোরছড়া এলাকায় শতাধিক পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়বলে অভিযোগ পাহাড়িদের।
রিপোর্ট বাংলা ট্রিবিউনের।