এম.এ আজিজ রাসেল:
কক্সবাজারে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের জেলা স্টিয়ারিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক ও জেলা স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব জেসমিন আকতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন-শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, কক্সবাজার সমাজের অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত পথশিশুদের পুনর্বাসনে যে কাজ করে যাচ্ছে। তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। তিনি এ কাজ সম্পন্ন করতে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য উপপ্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং জেলা প্রশাসনের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এতে বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার। সভায় উপপ্রকল্প পরিচালক কক্সবাজার শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সার্বিক কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন- বর্তমানে কক্সবাজার শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের দুটি শাখায় দুইশতাধিক বালক ও বালিকা শিশুকে উল্লেখিত সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সমাজের এসব ঝুঁকিতে থাকা অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত পথ শিশুদের আশ্রয়, খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, মনোসামাজিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনে কক্সবাজার শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সভায় উপস্থিত সদস্য জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক প্রীতম কুমার চৌধুরী বলেন- সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কক্সবাজার শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের শিশুদের সার্বিক সেবা প্রদান বিশেষত প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে তার পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত প্রশস্ত থাকবে।
এছাড়াও পুলিশ সুপার প্রতিনিধি কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ মাইন উদ্দিন, সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. মহিউদ্দিন মোঃ আলমগীর, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আহসানুল হক, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস, সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল আজম, কক্সবাজার সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) এর সহকারি তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক মনোনীত এনজিও প্রতিনিধি মুক্তির প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার, শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রতিনিধিসহ কেন্দ্রের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সরাসরি ভর্তিকৃত ৩৯ জন বালক ও ৩৬ জন বালিকা শিশু এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ৬৩ জন বালক ও ৮৬ জন বালিকা শিশুদের নামের তালিকা সর্বসম্মতক্রমে অনুমোদন করা হয়।