এবারের ফিতরা সর্বনিম্ন জনপ্রতি ৬৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই হার নির্ধারণ করা হয়। ১৪৩৮ হিজরি সনের ফিতরা নির্ধারণে সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।
ইসলামি শরিয়াহ্ মতে গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যের যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, গম ও আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৬৫ টাকা আদায় করতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৫৬০ টাকা আদায় করতে হবে।
কিসমিস দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ২৫০ টাকা আদায় করতে হবে। খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা আদায় করতে হবে।
পনির দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা আদায় করতে হবে।
মুসলমানেরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযাযী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা তার বাজার মূল্যের সমান ফিতরা আদায় করতে পারবেন। উপরোক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। ফলে এ অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
সভায় জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য মো. মোজাহারুল মান্নান, ড. মুহাম্মদ আবদুস সালাম, মুফতী মো. আবদুল্লাহ, প্রফেসর সিরাজউদ্দিন আহমদ, মুফাসসির ড. মো. আবু সালেহ পাটোয়ারী, মুফতী মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, ড. আবদুল জলীল, মুফতী এহসানুল হক, মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, শাঈখ মুহাম্মদ উছমান গণী, অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতি হিজরি বর্ষে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। গত বছরও ফিতরার পরিমাণ ছিল জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা। তবে সর্বোচ্চ ফিতরার হার ছিল ১ হাজার ৬৫০ টাকা।
প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। নাবালক ছেলেমেয়ের পক্ষ থেকে বাবা বা অভিভাবককে এই ফিতরা দিতে হয়। ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই দিতে হয় এই ফিতরা।